সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করেছে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার প্রক্রিয়াটি সরকারের ‘সাজানো নাটক’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, পুরো বিষয়টাই (বিচার প্রক্রিয়া) একেবারে আমি বলব যে একটা সাজানো নাটক।’
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘কারণ যেখানে মিটিং হওয়ার কথা ছিল, সেখানে মিটিং না হয়ে অন্য জায়গায় মিটিং শিফট করা হলো… এটা দেখভাল করার জন্য যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি তাদের সেটা ইনফার্ম করা হয়নি।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নাম মামলার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে (এফআইআর) ছিল না, কখনই ছিল না। তিনবার এফআইআর হয়েছে তার মধ্যে একবারও তার নাম ছিল না। এর পর একজন ব্যক্তি যিনি আগে রিটায়ার্ড করেছিলেন কাহার আখন্দ, যিনি আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিলেন, তাকে নিয়ে এসে পুনরায় চাকরি দিয়ে তাকে এই মামলার আইও করা হলো। সেই ভদ্রলোক তখন তারেক রহমানের নাম সেখানে দিলেন।
চার-দলীয় জোট সরকারের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাই নয়; শুধু, আমার কাছে রেকর্ড আছে। আমি সময় পেলে আপনাদের দেখাব যে, এখানে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানের নাম এই মামলায় দেওয়া হয়েছে, বিএনপির নেতাদের নাম এখানে দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি কোনো সুষ্ঠু তদন্ত না করেই এই কাজটা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ৩০০ আহত হন। এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুতফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারিক আদালত।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঠিক করতে দল ও অঙ্গসংগঠনকে নিয়ে যৌথ সভায় বসেন বিএনপি মহাসচিব। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে আসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, দলের নেতা মীর সরাফত আলী সপু, মনির হোসেন, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী ছিলেন।
এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতৃস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।