• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২০ আগস্ট, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২০ আগস্ট, ২০২৩

হাইমচরের গণ্ডামারা আবু বকর সিদ্দিকী ফাজিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-নতুনেরকথা।

হাইমচর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গণ্ডামারা আবু বকর সিদ্দিকী ফাজিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সলিম উল্লার বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে কমিটির অন্য সকল সদস্য, শিক্ষকবৃন্দ ও অভিভাবকেরা। অনাস্থা প্রস্তাবসহ প্রয়োজনীয় একাধিক চিঠি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর প্রেরণ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

গণ্ডামারা আবু বকর সিদ্দিকী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল রহমান হামীদী তিনি বলেন, মাদ্রাসার সকল শিক্ষক, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যরা সভাপতি মোঃ সলিম উল্লার বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়টির সিদ্ধান্তের জন্যে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার বিদ্যোৎসাহী সদস্য নূর হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বিগত দিনে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটিতে যাঁরা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানটি এতদূর এগিয়েছে। আমরা এখনও এমন একজন সভাপতি চাই যিনি মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করবেন। সভাপতি হিসেবে মোঃ সলিম উল্লার প্রতি আমাদের আস্থা নেই। তাই অনাস্থা প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সাবেক সভাপতি জনাব মো: ইমাম হোসেন পাটোয়ারী যিনি প্রতিষ্ঠাতার সন্তান। যাদের জায়গা জমির ওপর প্রতিষ্ঠান, যার সহযোগীতায় তিন তলা একটি ভবনের কাজ চলমান।তিনি বাদ পড়াতে এলাকার লোকজন মনে করেন মাদ্রাসার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যাবে।

হাইমচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিন মাস্টার, গন্ডামারা এবি এস ফাযিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি এ.এন.এম ওয়াহিদুজ্জামান পাটওয়ারী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন এ মাদ্রাসার সঙ্গে যুক্ত আছি। সভাপতি হিসেবে মোঃ সলিম উল্লাহকে আমরা যোগ্য মনে করি না। তাকে দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ নন। তাই অতিদ্রুত এই সভাপতির অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানান তারা।

জানা যায়, মাদ্রাসার সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতার চেক দেয়া হয়। কেউ কেউ মনে করছেন, যেহেতু সভাপতি পদ নিয়ে জটিলতা রয়েছে, তাই শিক্ষকদের বেতন উত্তোলন নিয়ে সমস্যা হতে পারে। শিক্ষকরাও এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি জনবল কাঠামোর ১৭.৪-এর অনুচ্ছেদ মতে, মাদ্রাসার সভাপতি পদ নিয়ে কোনো জটিলতা তৈরি হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে বেতন উত্তোলন করা যাবে।

সভাপতি পদ নিয়ে জটিলতার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষকরা যেন বেতন ভাতা তুলতে ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্যে তারা হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেন।

উল্লেখ্য, এ বছরের ১৩ এপ্রিল ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় গভনিং বডির সভাপতি হিসেবে মোঃ সলিম উল্ল্যাহকে মনোনয়ন দেয়।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!