শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। তাহলেই তারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধু কে ছিলেন, কেমন ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা কিভাবে বাংলাদেশ পেলাম ও বঙ্গন্ধুবাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কি করে বঙ্গবন্ধুর এ স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ একে একে পূরণ করে চলেছেন, সেগুলো যেন আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে পারে। নতুন প্রজন্মকে সত্য তথ্য জানাতে হবে। যত অপপ্রচার আছে, তা প্রতিহত করে বাঙ্গালি হিসেবে আমাদের সন্তানেরা গর্ব করবে। তারা যেন স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হতে পারে। সোনার বাংলায় সোনার মানুষ হতে পারে। সে দিকে শিক্ষকদের লক্ষ রাখতে হবে।
শুক্রবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের সাংস্কৃতিক জাগরণ দরকার৷ সেটি এখন তৃনমুল পর্যায় থেকে সব জায়গায়। আমরা যে হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের যে বাঙালি জাতি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, সম্মৃদ্ধি তা যদি আমাদের সন্তানেরা অনুবাধন করতে পারে, তাকে যদি নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারে, তাহলে তারা আত্ম-শক্তিতে বলীয়ান হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, আমার নিজের মধ্যে, নিজের মাটিতে, সংস্কৃতিতে, ইতিহাসে, সংগ্রামে, ত্যাগে, আমার যে শক্তি আছে, সে শক্তিকে আমি যখন অনুবাধন করতে পারবো তখন সত্যিকার অর্থে কেউ আর আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। কাজেই সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়েই আমাদের সন্তানদেরকে সেই আত্ম-শক্তির অনুবাধনের জায়গাটিতে আমরা নিয়ে যেতে পারবো।
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুক্তা পিযুষের সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।
বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিঠুন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান।
এসময় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।