হাইমচরকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী বাঁধের দাবীতে মানববন্ধন

  • আপডেট: ১১:১৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৪৩

ছবি-নতুনেরকথা।

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।

বুধবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে ইউনিয়নের ঈশানবালা লঞ্চঘাটে ভাঙনের শিকার নারী-পুরুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর লোকজন মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

ভাঙনের শিকার এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাউদ আল নাছের, ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খলিল মাতাব্বর, শিক্ষক নুরুজ্জামান শিকদার, স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল কালাম বেপারী, আব্দুল জাব্বার উকিল, বাচ্চু পেদা, আল-আমিন হাওলাদার ও শাহিদা বেগম।

বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছর মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ফসলি জমি, বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, পুলিশ ফাঁড়িসহ বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। এলাকার প্রত্যেকটি পরিবার ৬-৭বার নদী ভাঙনের শিকার। সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অনেকে এখন ছিন্নমূল। সম্প্রতি আবার নদী ভাঙন তীব্রতর হয়েছে। অস্থায়ী কোন কাজ না করে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবী জানান তারা।

নীল কমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের বক্তব্যে বলেন, ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ এলাকা কয়েক বছরের ভাঙনে নদী গর্ভে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বহু স্থাপনা ভেঙেগেছে। সরকার এই ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না করলে উপজেলার মানচিত্র থেকে এই ইউনিয়ন হারিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জনগণের দাবী হিসেবে সরকারের কাছে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবী জানাচ্ছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

যে কারণে পুরুষে ৪টি বিয়ের পক্ষে হীরা সুমরো

হাইমচরকে মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় স্থায়ী বাঁধের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট: ১১:১৩:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।

বুধবার (১৬ আগষ্ট) দুপুরে ইউনিয়নের ঈশানবালা লঞ্চঘাটে ভাঙনের শিকার নারী-পুরুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশা শ্রেণীর লোকজন মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

ভাঙনের শিকার এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাউদ আল নাছের, ৩ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খলিল মাতাব্বর, শিক্ষক নুরুজ্জামান শিকদার, স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল কালাম বেপারী, আব্দুল জাব্বার উকিল, বাচ্চু পেদা, আল-আমিন হাওলাদার ও শাহিদা বেগম।

বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছর মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ফসলি জমি, বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, পুলিশ ফাঁড়িসহ বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েগেছে। এলাকার প্রত্যেকটি পরিবার ৬-৭বার নদী ভাঙনের শিকার। সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অনেকে এখন ছিন্নমূল। সম্প্রতি আবার নদী ভাঙন তীব্রতর হয়েছে। অস্থায়ী কোন কাজ না করে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবী জানান তারা।

নীল কমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের বক্তব্যে বলেন, ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ এলাকা কয়েক বছরের ভাঙনে নদী গর্ভে। চলতি বর্ষা মৌসুমে বহু স্থাপনা ভেঙেগেছে। সরকার এই ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা না করলে উপজেলার মানচিত্র থেকে এই ইউনিয়ন হারিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জনগণের দাবী হিসেবে সরকারের কাছে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধের দাবী জানাচ্ছি।