• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ১০ আগস্ট, ২০২৩

কচুয়ায় শালিস বৈঠকে গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতন ॥ ইউপি সদস্যসহ ৪জন গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-কচুয়া প্রতিনিধি

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব:

কচুয়ায় বিয়ে করার অপরাধে শালিস বৈঠকে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আকলিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে কচুয়া থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সিংআড্ডা গ্রামের ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ (৩৫), জসিম উদ্দিন (৪৫), আনোয়ার হোসেন (৫০) ও নবীর হোসেন (৪০)।

নির্যাতনের এমনি একটি ভিডিও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় তা ভাইরাল হয়েছে। গৃহবধুকে নির্যাতন করার সময় এক যুবক তার মোবাইল ফোনে ধারণ করে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে দিলে তিনি ফেইসবুকে পোস্ট করেন। মুহুর্তের মধ্যে ২৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ এর উপস্থিতিতে আলমগীর হোসেন নামের এক যুবক গৃহবধু আকলিমাকে দেশীয় লাঠি (মোত্রা) দিয়ে তার পিঠে উপর্যিপুরি মারধর করছে। আশপাশের দু’একজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাতে পাত্তা না দিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। পেটানোর সময় ২টি মোত্রা ভেঙ্গে গেলে আলমগীর চেয়ার দিয়ে পেটাতে আসে। এ দৃশ্য যেন মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। অভিলম্বে এ নরপিচাশদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পোস্টে কমেন্ট করে বিভিন্ন ব্যক্তিরা।

কচুয়া থানার মামলা সূত্র ও গৃহবধু আকলিমা জানান, সিংআড্ডা গ্রামের মজুমদার বাড়ির আব্দুর রহিমের সাথে আমার বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে সে মৃত্যু বরণ করে। ৫দিন পূর্বে একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একই গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির আলমগীর হোসেকে বিয়ে করি। বিয়ে করার কেন্দ্র করে বুধবার (৯ আগস্ট) কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদের বাড়িতে শালিস বৈঠক বসে। শালিস বৈঠকে আমার প্রথম পক্ষের ভাসুর আনোয়ারের ছেলে আলমগীর শালিস চলাকালীন সময়ে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করায়।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম খলিল জানান, ঘটনার দিন রাতে কচুয়া থানায় অভিযোগ করলে থানা তাৎক্ষণিক ইউপি সদস্য ফরিদ আহমেদ ও তার ভাই জসিমসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৪জনকে প্যানেল কোড সংশ্লিষ্ট ধারায় বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে চাঁদপুরের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী আলমগীর হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!