চাঁদপুরে চোখ রাঙ্গাচ্ছে ডেঙ্গু, আক্রান্ত ২৭

  • আপডেট: ০৯:০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩
  • ৩৪

ছবি-নতুনেরকথা।

শুধু রাজধানী ঢাকায় নয়, এবার চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও ডেঙ্গু চোখ রাঙ্গাচ্ছে। জেলা সদর ও কচুয়াf উপজেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ।

সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০জন করে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। যার ফলে হাসপাতালের নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর জানান, গত কয়েক মাসেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে জুলাই মাসে এর প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পায়। এই মাসে অদ্য পর্যন্ত ১১০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭২জন, মহিলা ৩৫জন ও শিশু ৩জন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১২জন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত মো. আলিফ (১৫) জানান, প্রথমে আমার জ¦র হয়। আমার চোখ লাল হয়ে যায়। জ¦র না কমায় হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করাই। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন চিকিৎসক। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন আছি।

চিকিৎসাধীন অপর রোগী মো. শরীফুল ইসলাম (২৫) জানান, তিনি গত দুই দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ্য হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাসপাতলে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই’র ১ তারিখ থেকে অদ্য পর্যন্ত প্রায় ১১০জন রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগী বাড়ে। তবে এ বছর রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেশী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগ থেকেই আশঙ্কা করেছেন এবং আমাদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে আলোকে আমরা পুরুষ ডেঙ্গু রোগীর জন্য ১৬ এবং নারী রোগীর জন্য ৮টি বেড প্রস্তুত রেখেছি এবং চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। রোগীর চাপও আছে। আশার কথা হচ্ছে এখন পর্যন্ত চাঁদপুরে কোন রোগীই মৃত্যুবরণ করেননি। তবে বর্ষা যতদিন থাকবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়বে। আমরা এর জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রেখেছি।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাখাওয়াত জানান, আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) চাঁদপুর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ২৭জন। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে ৮৮জন। সদর ও উপজেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে সদরে ভর্তি ২৯জন, ফরিদগঞ্জে ভর্তি ১৫জন, শাহরাস্তি ৫জন, কচুয়া ১১জন, হাজীগঞ্জ ৫জন, মতলব দক্ষিণে ১০জন মতলব উত্তরে ৮জন ও হাইমচরে ৫জন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস বলেন, ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হাসপাতালে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আলাদা করে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

চাঁদপুরে চোখ রাঙ্গাচ্ছে ডেঙ্গু, আক্রান্ত ২৭

আপডেট: ০৯:০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩

শুধু রাজধানী ঢাকায় নয়, এবার চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলাতেও ডেঙ্গু চোখ রাঙ্গাচ্ছে। জেলা সদর ও কচুয়াf উপজেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ।

সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১০জন করে নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। যার ফলে হাসপাতালের নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সদর হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর জানান, গত কয়েক মাসেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে জুলাই মাসে এর প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পায়। এই মাসে অদ্য পর্যন্ত ১১০ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭২জন, মহিলা ৩৫জন ও শিশু ৩জন। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১২জন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত মো. আলিফ (১৫) জানান, প্রথমে আমার জ¦র হয়। আমার চোখ লাল হয়ে যায়। জ¦র না কমায় হাসপাতালে এসে পরীক্ষা করাই। এরপর ডেঙ্গু ধরা পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি দেন চিকিৎসক। বর্তমানে আমি চিকিৎসাধীন আছি।

চিকিৎসাধীন অপর রোগী মো. শরীফুল ইসলাম (২৫) জানান, তিনি গত দুই দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ্য হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ড. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাসপাতলে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই’র ১ তারিখ থেকে অদ্য পর্যন্ত প্রায় ১১০জন রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু রোগী বাড়ে। তবে এ বছর রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেশী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগ থেকেই আশঙ্কা করেছেন এবং আমাদের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। সে আলোকে আমরা পুরুষ ডেঙ্গু রোগীর জন্য ১৬ এবং নারী রোগীর জন্য ৮টি বেড প্রস্তুত রেখেছি এবং চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। রোগীর চাপও আছে। আশার কথা হচ্ছে এখন পর্যন্ত চাঁদপুরে কোন রোগীই মৃত্যুবরণ করেননি। তবে বর্ষা যতদিন থাকবে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়বে। আমরা এর জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রেখেছি।

চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাখাওয়াত জানান, আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) চাঁদপুর জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ২৭জন। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি আছে ৮৮জন। সদর ও উপজেলা হাসপাতালগুলোর মধ্যে সদরে ভর্তি ২৯জন, ফরিদগঞ্জে ভর্তি ১৫জন, শাহরাস্তি ৫জন, কচুয়া ১১জন, হাজীগঞ্জ ৫জন, মতলব দক্ষিণে ১০জন মতলব উত্তরে ৮জন ও হাইমচরে ৫জন।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস বলেন, ডেঙ্গু রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই হাসপাতালে পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আলাদা করে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে।