• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২৮ জুন, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ২৮ জুন, ২০২৩

হাজীগঞ্জসহ চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
ছবি-নতুনেরকথা।

আজ সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ’সহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন হচ্ছে। এরা মূলত: হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ ও চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের।

ঈদুল আযহা’র প্রথম জামাত সকালে ৮টায় সাদ্রা ঈদগাঁ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতের ইমামতি করেন, মাও. আরিফুর রহমান সাদ্রাভী, এছাড়াও অন্যান্য মসজিদে ঈদের জামায়াতের মেঝো হুজুর মাও. আবু বকর মো. ইসমাইল, সেজো হুজুর মাও. আবুল খায়ের, সহ সকল সাহেবজাদাগণ।

জানা গেছে, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা পালন উদযাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ রোজা ও আগাম ঈদ পালন করে আসছেন। তবে তাঁরা বলছেন, সৌদিআরব নয়, চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, নিলাম বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট।

মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামসহ চাঁদপুরের পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

এছাড়াও চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী হিসাবে মতলব উত্তরে পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি, লতুর্দী, সাতানী ও দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা, আমিয়াপুর, মধ্য ইসলামবাদ, গাজীপুুর, মধ্য এখলাছপুর (বড়ইকান্দি), ফরাজীকান্দি, রামদাশপুর, চরমাছুয়া, হাজিপুর, দক্ষিণ রামপুর, সরকারপাড়া ও ঠাকুরপাড়া অনেকে সৌদিআরবের সাথে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা পালন করে থাকেন।

এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাও. আরিফুর রহমান সাদ্রাভী সংবাদকর্মীদের বলেন, সৌদিআরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো উদযাপন করে থাকি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিতর্কের কিছুই নেই। আমরা কোরআন হাদীস অনুযায়ী চাঁদ দেখে সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। একদিন না একদিন সবাই আমাদের সিদ্ধান্তের সাথে এক হবেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!