২৩ জুন থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে-প্রকৌ. মোহাম্মদ হোসাইন

  • আপডেট: ০৯:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
  • ৩৩

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়তে শুরু করে লোডশেডিং। কয়লা সংকটের কারণে গতকাল সোমবার (৫ জুন) থেকে পুরোপুরি এ প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ হয়।

এর পরের অবস্থা দেশের কেউ জানেন না, সেটি কারও অজানা নয়।

বিদ্যুৎ গোলযোগ বেড়েছে। কোনো এলাকায় প্রতি ঘণ্টায় একবার করে বিদ্যুৎ আসছে; আবার কিছু এলাকায় দেড়-দুই ঘণ্টা পরপর একবার করে যাচ্ছে। এতে করে জনগণের সমস্যা বেড়েছে বহুগুণ। কোনো এলাকায় লাইনে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। শিল্প এলাকায়গুলোতেও প্রকট আকার ধারণ নানা সমস্যা। এ অবস্থায় সরকার যদিও বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু প্রত্যক্ষ কোনো কাজে আসছে না সেটি।

এ অবস্থায় সমাধান কী সেটি সরকারই ভালো জানে। তবে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, সহসাই এ সংকট থেকে উত্তরণ পাবে দেশবাসী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২৩ জুন থেকে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

জাতীয় গ্রিডে নতুন করে আরও বিদ্যুৎ এলে দেশে লোডশেডিং কমে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

লোডশেডিং বাড়ার কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন দেশের একটি বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের কাছে। সেটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, আমরা বিগত ৬ মাস ধরে ডেফার্ড পেমেন্টে কয়লা ক্রয় করছিলাম। কারণ আমাদের হাতে ডলার ছিল না। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা যখন শেষ হয়ে আসছিলো তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এলসি খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে নতুন করে এলসি খোলা যায়নি। ফলে কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

তেল-গ্যাস দুটি পণ্য কিনতেই ডলার প্রয়োজন। ডলার সংকটের কারণে আমরা বিকল্প পথে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারিনি। কিন্তু সেটাও খুব দ্রুত সমাধান হচ্ছে। পায়রার বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলেও লোডশেডিং কিন্তু বাড়েনি। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত লোডশেডিং কমাতে না পারলেও বাড়বে না। গত পরশু আমাদের উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৮১ মেগাওয়াট। পায়রা বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পরও সোমবার রাতে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১৩ হাজার ৮৫৯ মেগাওয়াট। আমরা কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি, কমাইনি। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ৩টায় আমাদের উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ০৪৪ মেগাওয়াট। যেটা গতকাল ছিল ১২ হাজার ০২৮ মেগাওয়াট। আর পায়রার উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে ছিল ১২ হাজার ০০৬ মেগাওয়াট।

আগামী ১৩ জুন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে। কারণ, এই সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাব। ফলে লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে। আগামী ২২ জুন থেকে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন আসবে। আদানী থেকেও আমরা পূর্ণ ক্ষমতার বিদ্যুৎ পাবো। আগামী ২৩ জুন থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

ভারতে মসজিদের স্থানে মন্দির দাবি করে জরিপের চেস্টায় উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে ৩ মুসল্লি নিহত (ভিডিওসহ)

২৩ জুন থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে-প্রকৌ. মোহাম্মদ হোসাইন

আপডেট: ০৯:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়তে শুরু করে লোডশেডিং। কয়লা সংকটের কারণে গতকাল সোমবার (৫ জুন) থেকে পুরোপুরি এ প্ল্যান্টের উৎপাদন বন্ধ হয়।

এর পরের অবস্থা দেশের কেউ জানেন না, সেটি কারও অজানা নয়।

বিদ্যুৎ গোলযোগ বেড়েছে। কোনো এলাকায় প্রতি ঘণ্টায় একবার করে বিদ্যুৎ আসছে; আবার কিছু এলাকায় দেড়-দুই ঘণ্টা পরপর একবার করে যাচ্ছে। এতে করে জনগণের সমস্যা বেড়েছে বহুগুণ। কোনো এলাকায় লাইনে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। শিল্প এলাকায়গুলোতেও প্রকট আকার ধারণ নানা সমস্যা। এ অবস্থায় সরকার যদিও বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু প্রত্যক্ষ কোনো কাজে আসছে না সেটি।

এ অবস্থায় সমাধান কী সেটি সরকারই ভালো জানে। তবে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন, সহসাই এ সংকট থেকে উত্তরণ পাবে দেশবাসী। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২৩ জুন থেকে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

জাতীয় গ্রিডে নতুন করে আরও বিদ্যুৎ এলে দেশে লোডশেডিং কমে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

লোডশেডিং বাড়ার কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন দেশের একটি বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের কাছে। সেটি পাঠকের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, আমরা বিগত ৬ মাস ধরে ডেফার্ড পেমেন্টে কয়লা ক্রয় করছিলাম। কারণ আমাদের হাতে ডলার ছিল না। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা যখন শেষ হয়ে আসছিলো তখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এলসি খোলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে নতুন করে এলসি খোলা যায়নি। ফলে কয়লা সংকটের কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

তেল-গ্যাস দুটি পণ্য কিনতেই ডলার প্রয়োজন। ডলার সংকটের কারণে আমরা বিকল্প পথে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারিনি। কিন্তু সেটাও খুব দ্রুত সমাধান হচ্ছে। পায়রার বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলেও লোডশেডিং কিন্তু বাড়েনি। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত লোডশেডিং কমাতে না পারলেও বাড়বে না। গত পরশু আমাদের উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৮১ মেগাওয়াট। পায়রা বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পরও সোমবার রাতে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১৩ হাজার ৮৫৯ মেগাওয়াট। আমরা কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি, কমাইনি। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুর ৩টায় আমাদের উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ০৪৪ মেগাওয়াট। যেটা গতকাল ছিল ১২ হাজার ০২৮ মেগাওয়াট। আর পায়রার উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে ছিল ১২ হাজার ০০৬ মেগাওয়াট।

আগামী ১৩ জুন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়বে। কারণ, এই সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাব। ফলে লোডশেডিং অনেকাংশে কমে আসবে। আগামী ২২ জুন থেকে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন আসবে। আদানী থেকেও আমরা পূর্ণ ক্ষমতার বিদ্যুৎ পাবো। আগামী ২৩ জুন থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।