মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরী এখন দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় ইউপি সদস্যসহ শালিশী বৈঠকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দফরফার চেষ্টা চালানো হয়। কিশোরীর বাবা দেয়া অভিযোগে ধর্ষক রায়হান, তার চাচাতো বোন হাজেরা বেগম, খালেদা আক্তার, চাচাত ভাই মোঃ হাবিবুর রহমান সর্দার ও ইউপি সদস্য মোঃ রহমত উল্যাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা ইউনিয়নে।
সোমবার (১৫ মে) বিকালে হাজীগঞ্জ থানার তদন্ত ওসি নজরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনা জড়িত আটককৃতদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানায় দেয়া অভিযোগে বলা হয়েছে, কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। গেলো ২১শে মার্চ বিকালে মাছের খাবার মাথায় তুলে দেয়ার কথা বলে ঘরে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেয় কিশোর রায়হান। পরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। যার কারণে দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। বিষয়টি পরিবারে লোকজন বুঝতে পেরে স্থানীয় ইউপি সদস্য রহমত উল্ল্যাহ্কে অবগত করে। পরে ইউপি সদস্যসের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
জানতে চাইলে থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষকের বয়স সন্দেহ হওয়ায় এখনো আদালতে পাঠানো হয়নি। বয়স নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে কিশোরীর মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।