• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৩

হাজীগঞ্জে মসজিদ নির্মাণকাজে যুবলীগ নেতার টাকা দাবীর অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

হাজীগঞ্জে নির্মাণাধীন মসজিদে টাকা দাবী ও টাকা না পেয়ে কর্মরত নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মসজিদের সেক্রেটারী মো. শরীফ হোসেন হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম সাকছিপাড়া গ্রামের শায়লা আক্রাম কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে ওই ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের মজুমদার বাড়ির মো. ইছহাকের ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন (৩০) ও মো. ওয়াসিম (২৩) এবং একই ইউনিয়নের ড্রাইভার মো. ইসমাইল হোসেন (২২), মো. হাবিব (২৫), মো. মাহবুব (২২) সহ নামীয় ৫জন সহ অজ্ঞাতনামা ৪৫/৫০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

মারধরে আহতরা হলেন, সহকারী ঠিকাদার টাঙ্গাইল জেলার শ্যামনগর এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন (৪৪), নির্মাণ শ্রমিক ওই এলাকার মাহমুদের ছেলে মো. সোলাইমান (১৯), মো. সহিদের ছেলে মো. নাইম (১৭), মৃত মীর হোসেনের ছেলে ফজর আলী (৩০), ফজল হকের ছেলে মো. সেলিম (৪২), বোলারপাড়া এলাকার আ. হাইয়ের ছেলে মো. রোবেল (৪০) ও বগুড়া জেলার চন্দ্রপাইল এলাকার মো. রকি (৩০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম সাকছিপাড়া গ্রামের শায়লা আক্রাম কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরুর পর উল্লেখিত বিবাদীরা প্রায় সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সহকারী ঠিকাদার মো. গিয়াস উদ্দিনের কাছে ২ লাখ টাকা দাবী করেন। উক্ত টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করায়, তারা উত্তেজিত হয়ে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে ও হুমকি-ধমকি দেয়। এরপর টাকা না দিলে গত ১২ এপ্রিল তারা মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধের হুমকি দেয়।

সবশেষ গত ১৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উল্লেখিত বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মসজিদ নির্মাণ কাজের স্থলে উপস্থিত হয়ে টাকা দাবী করে। এ সময় টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা (বিবাদী) সহকারী ঠিকাদারসহ নির্মাণ শ্রমিকদের উপর অতর্কিত আক্রমন ও তাদের মারধর করে এবং তাদের সাথে থাকা নগদ ৩৬ হাজার ৫’শ টাকা নিয়ে যায়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে অভিযোগের বিবাদী মো. শাহাদাত হোসেনের মুঠোফোনে (০১৮১৩-২৬২৬৫১) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি তাৎখনিক ফোন রিসিভ ও পরে ফোন ব্যাক না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান জানান, দু’পক্ষের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • সারা দেশ এর আরও খবর
error: Content is protected !!