ধর্ষণচেষ্টার সময়’ ভাশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে গৃহবধূ। এঘটনায় থানায় মামলা করেছে ওই ভূক্তভোগি নারী। গত রোববার বগুড়ার শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী নারী শেরপুর থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন।
পরে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তিনি ব্লেড দিয়ে তাঁর ভাশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম করিম প্রামানিক (৫০)। তিনি খানপুরের দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। করিম প্রামানিক ওই এলাকার মৃত আফসারের ছেলে। বর্তমানে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
থানা-পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে ওই গৃহবধূ তাঁদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী দেবনতুর মাঠে ভুট্টাখেতে ঘাস কাটতে যান। এ সময় তাঁর ভাশুর করিম তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি তাঁর কাছে থাকা ব্লেড দিয়ে করিমের লিঙ্গের আংশিক কেটে দেন। এতে তিনি আহত হয়ে পালিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ আজকের পত্রিকাকে জানান, করিম প্রামাণিক তাঁর স্বামীর বড় ভাই। অভিযুক্ত করিম অনেক দিন থেকে তাঁকে কু-প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। এর আগে কয়েকবার তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। বিষয়টি তিনি তাঁর স্বামী ও স্বজনকে জানলে কেউ তাঁর কথা বিশ্বাস করেনি। বরং তাঁকেই দোষারোপ করে। এ জন্য তিনি সব সময় আতঙ্কে থাকতেন ও আত্মরক্ষার জন্য কাছে সব সময় একটি ব্লেড রাখতেন।
শেরপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যায় আসামিকে তাঁর নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জিয়া মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তাঁকে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, চিকিৎসা শেষে আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।