• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

হঠাৎ করেই কচুয়া-ঢাকা সড়কে সুরমা বাস চলাচল বন্ধ ॥ ভোগান্তিতে যাত্রীরা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

কচুয়া প্রতিনিধি:

হঠাৎ করে কচুয়া-ঢাকা সড়কে সুরমা সুপার পরিবহনের বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরমে ভোগান্তিতে যাত্রীরা উঠেছে। বুধবার সকাল থেকে কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ হতে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জগামী সকল বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়ে সুরমা বাস মালিক সমিতির সভাপতি সালাম সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মজুমদার জানান, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের প্ররোচনায় কতিপয় নামধারী কিছু ব্যক্তি শ্রমিক পরিচয়ে ২৪ আগস্ট বুধবার কচুয়ার সুরমা কাউন্টারের কেরানী শফিকুল ইসলামকে মারধর করে কাউন্টার থেকে তাড়িয়ে দিয়ে কাউন্টার দখল করে নেয় ও প্রত্যেক বাস থেকে ২শত টাকা করে জিপি আদায় করছে। তাছাড়া কচুয়ার বিশ্বরোড এলাকায় ৫টি গাড়ির চাবি নিয়ে গাড়িগুলোর ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায়। এঘটনার প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম জানান, সুরমা পরিবহনে আমি দুটি বাস চলাচলের জন্য সরকারি ভাবে রুট পারমিট নেই। একটি বাস হাজীগঞ্জ থেকে চলাচল করার সুযোগ দিলেও অপরটি শাহরাস্তি থেকে চলাচলের অনুমতি চাইলে সুরমা সুপার বাস মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমার নিকট হতে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। তাদের প্রস্তাবে আমি রাজী না হওয়ায় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আমার বাস থেকে ব্যাটারি খুলে নিয়ে যায় এবং গাড়ির ড্রাইভারসহ শ্রমিকদের মারধর করে। তাই শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে জনসম্মূখে তাদের গাড়ির ব্যাটারি খুলে নেয়। তিনি আরো দাবী করেন, বাস শ্রমিক সংগঠনের জিপির নামের উত্তোলণকৃত টাকা শ্রমিক সংগঠনের গুটি সংখ্যক লোক আত্মসাৎ করে আসায় সংগঠনের অধিকাংশ শ্রমিকরা তাদের প্রতি ক্ষুদ্ধ । এ ক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা কচুয়া ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন সুরমা কাউন্টারে কেরানি শফিকুল ইসলামকে সরিয়ে দিয়ে শ্রমিকদের নিয়োজিত ব্যক্তি দিয়ে জিপির টাকা আদায় করছে।

উল্লেখ্য আবুল হোসেন মজুমদার একদল শ্রমিক নিয়ে তার স্বেচ্ছাচারিতায় দীর্ঘ ৩৫বছর ধরে সুরমা পরিবহন পরিচালনা করছে। কচুয়া বিশ্বরোড অবস্থিত কাউন্টার নেই। রাস্তার উপর চেয়ারটেবিল বসিয়ে টিকেট বিক্রি করে পরিবহন চালায়।

যাত্রীদের সুবিধার জন্য যাত্রীচাউনি করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হলেও তিনি তা বাস্তবে রূপদান করেননি। এবং শ্রমিকদের কল্যানের টাকাও নিজে আত্মসাৎ করেছেন বলে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানান। সম্প্রতি শংকর সাহা নামে সুরমা বাসের ড্রাইভার কচুয়া বিশ্বরোড দুর্ঘটনায় তার একটি পা চলে যায়। কিন্তু কল্যান তহবিল থেকে কোন অর্থ পায়নি বলে তার পরিবার জানায়।

বাস চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান জানান, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শ্রমিক এবং মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দর সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!