• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কচুয়ায় বিয়ের প্রলোভণে কিশোরীকে বার বার ধর্ষণ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

কচুয়া প্রতিনিধি :
চাঁদপুরের কচুয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বার বার ধর্ষনের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। সাতবাড়িয়া গ্রামের ফকির বাড়ির মৃত নুরু মিয়ার মেয়ে আমেনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বার বার ধর্ষণ করে একই গ্রামের মেম্বার বাড়ীর মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে হৃদয় হোসেন।

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী আমেনা বলেন, হৃদয়ের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে প্রায় ২ বছর যাবত।এই দুই বছর সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে আমাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বার বার ধর্ষণ করে।আমি তাকে বিয়ের কথা বললে, সে বলে আমি আগে প্রতিষ্ঠিত হই তারপর তোমাকে বিয়ে করবো। আমেনা আরো বলেন,গতকাল ৪ই সেপ্টেম্বর রবিবার হৃদয় আমার কর্মস্থল রহিমানগর কলেজ গেটে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে গিয়ে রাত ৮টায় বসে থাকে এবং আমাকে তার সাথে নিয়ে যেতে চায়।আমি তার সাথে যেতে অপারগতা প্রকাশ করি এবং আমার ডিউটি শেষ করে রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে আসি।সে আমার পেছন পেছন আমার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।আমি তাতে বাঁধা প্রদান করি।

এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে জোর পূর্বক আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে আমি ডাক চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে এবং হৃদয়কে আটক করে। এর ১ঘন্টা পরে হৃদয়ের মা, ভাই সোহাগ এবং কামরুলের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ এসে আমাদের ঘরের বেড়া ভাঙ্গে এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং আমাকে মরধর করে হৃদয়কে নিয়ে চলে যায়।আমরা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।

এলাকাবাসিরা জানান, হৃদয় এলাকায় গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা করে। সে এলাকার কিছু প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে এই ব্যবসা পরিচালনা করে।এছাড়া সে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের নিয়ে কিশোর গ্যাং গঠন করে বিভিন্ন অপকর্ম করে যাচ্ছে।অসহায় মেয়েটাকে সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার জীবনটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে আমরা এলাকাবাসী এর উপযুক্ত বিচার চাই।

মেয়েটির বাবা নেই, মা রহিমানগর বাজারে রাজ হোটেলে মশলা বাটার কাজ করে।ভাই একজন ডেকোরেটরের দোকানে থাকে।মেয়েটির দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে হৃদয় ফায়দা লুটছে।

স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মনির হোসেন বলেন, আমি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।শুনেছি তারা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে জানিয়েছে। আমি চাই প্রকৃত দোষীদের শাস্তি আওতায় আনা হোক।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, আমি যতদুর শুনেছি, ঘটনাটি প্রেমঘটিত, মেয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!