দেশত্যাগের সময় পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদারের সহযোগী শারমিন আহমেদ (৪২) ও তানিয়া আহমেদ (৩৭) কানাডা থেকে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশে আসেন বলে দাবি করেছে র্যাব।
আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর শ্যামলী ও ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাবের দাবি, শারমিন ও তানিয়া ফের কানাডায় চলে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, ‘পিপলস লিজিংয়ের সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিন পরিবারের সদস্যদের নামে ২০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু, কেউ ঋণ পরিশোধ করেননি। খবির উদ্দিনের দুই মেয়ে শারমিন ও তানিয়া ২০০৩ সাল থেকে কানাডায় অবস্থান করছেন। তারা ঋণ নেওয়ার সময় হয়তো দেশে এসেছিলেন। শারমিন ৩১ কেটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাত করেছেন।’
খন্দকার আল মঈন জানান, তারা ২৮ জুলাই পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশে আসেন। এতদিন তারা আত্মগোপনে ছিলেন। আজ ভোরে কানাডায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা। এর আগে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের মালামাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো হয়। গ্রেপ্তারে সময় প্রথমে তারা তাদের পরিচয় গোপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাদের বাবা খবির উদ্দিন জামিনে আছেন। এ বছরের ১৯ এপ্রিল তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু, তারা তা অমান্য করেন। গ্রেপ্তারের পর শারমিন ও তানিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঋণ গ্রহণের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া দুজন জানান, তারা তাদের বাবা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করেছে। আজই তাদের আদালতে পাঠানো হবে।’