খবর নিয়ে জানাযায়, চাঁদপুরে নিয়মিত মশা নিধনের ঔষধ স্পে না করায়, ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। আর ওইসব ডেঙ্গু মশার কারনে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে মানুষজন। বর্তমানে আড়াই,শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রায় ১৫/১৬ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ইনচার্জ সবুজ হোসাইন জানায়, গত জুন মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রাঘগন্ত ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি মাসে পুরুষ ওয়ার্ডে ২৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং হাসপাতালের ৪ র্থ তলার মহিলা ওয়ার্ডে একই রোগে আক্রান্ত হয়ে ৫ জন নারী ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে হাসাতালে ১০/১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চাঁদপুরের বিভিন্নস্থানে নিয়মিত মশা নিধনের ঔষধ স্প্রে না করার কারনে হঠাৎ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাই এখন থেকে যদি নিয়মিত চাঁদপুরে মশা নিধনের ঔষধ স্প্রে করা হয় তাহলে হয়তো ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত থেকে মানুষ কিছুটা মুক্তি পাবে বলে ধারনা করছেন সচেতন মহল।
এ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরী নতুনেরকথাকে জানান, এখন বর্ষা মৌসুম হওয়ায় দেখা গেছে যে টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারনে ফুলের টবসহ বিভিন্ন গর্ত, ডোবা, নালা, পানি জমে থাকে। আর ওইসব জমে থাকা নোংরা পানি থেকে দেখা গেছে এডিস মশার উতপত্তি ঘটে।
এসব মশার কামড়ে অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে যারাই চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন, তাদের অধিকাংশ লোকই ঢাকা থেকে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। তিনি আরো জানান, যে এ ক্ষেত্রে সর্তক থাকার জন্য ঘুমানোর সময় অবশ্বই মশারি ব্যবহার করতে হবে।