ভাগ্নের বাড়ি মামির প্রেমের অনশন

  • আপডেট: ০৯:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
  • ২৬

ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রাক্তন স্বামীর ভাগ্নে ও প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা সীমা আক্তার। বুধবার (২৯জুন) উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ পুলিশ সংবাদ পেয়ে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে।
অনশনরত প্রেমিকা গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তার জানান, উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামের বেপারী বাড়ির আনোয়ার হোসেন মানিক তার প্রাক্তন প্রথম স্বামীর ভাগ্নে। আনোয়ার হোসেন মানিকের মামা বিল্লাল হোসেনের এর সাথে আমার ২০০৯ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মানিক আমার  বিভিন্ন ভাবে কৌশলে ছবি তুলে হয়রানি করার কারণে জোর পুর্বক  মানিক তার  সাথে সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এই সম্পর্ক কে কেন্দ্র করে আমাদের ৭ বছরের সংসার ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে মানিক আমাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশি গিয়ে চারবছরেও ফিরে আসেনি।  তারপর আমার পরিবারের কারণে  আমার দ্বিতীয় বিয়েহয় রামপুর গ্রামের ঢাকায় বাসিন্দা এনামুল হকের সাথে। সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় মানিক আমার ক্ষতিসাধন করা শুরু করে। একপর্যায়েসে আমার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে  যোগাযোগ করার কারণে আমার দ্বিতীয় সংসার ভেঙ্গে যায়। তারপর মানিক বিদেশে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।  কিন্তু বিদেশ থেকে এসে এখন সে আমাকে স্বামীর অধিকার দিচ্ছে না। বহু অপেক্ষা করেও অধিকার না পাওয়ায় স্ত্রীর অধিকার দাবিতে অনশন করছি। এই বিষয় আনোয়ার হোসেন সাথে ফোনে কথা বললে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
অনশনকালে আনোয়ার হোসেন মানিক ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে উপস্থিত ছিলো না। তারা আগেই ঘরের তালা বদ্ধ করে চলে যায়।
১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ ভুঁইয়া বলেন , বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯ কল করেছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদকে সুরাহা করার জন্য বলা হয়েছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

ভাগ্নের বাড়ি মামির প্রেমের অনশন

আপডেট: ০৯:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুন ২০২২

ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রাক্তন স্বামীর ভাগ্নে ও প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা সীমা আক্তার। বুধবার (২৯জুন) উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে ৯৯৯ পুলিশ সংবাদ পেয়ে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে।
অনশনরত প্রেমিকা গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের চরমথুরা গ্রামের দেওয়ান বাড়ির মেয়ে সীমা আক্তার জানান, উপজেলার ১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামের বেপারী বাড়ির আনোয়ার হোসেন মানিক তার প্রাক্তন প্রথম স্বামীর ভাগ্নে। আনোয়ার হোসেন মানিকের মামা বিল্লাল হোসেনের এর সাথে আমার ২০০৯ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মানিক আমার  বিভিন্ন ভাবে কৌশলে ছবি তুলে হয়রানি করার কারণে জোর পুর্বক  মানিক তার  সাথে সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এই সম্পর্ক কে কেন্দ্র করে আমাদের ৭ বছরের সংসার ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে মানিক আমাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশি গিয়ে চারবছরেও ফিরে আসেনি।  তারপর আমার পরিবারের কারণে  আমার দ্বিতীয় বিয়েহয় রামপুর গ্রামের ঢাকায় বাসিন্দা এনামুল হকের সাথে। সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় মানিক আমার ক্ষতিসাধন করা শুরু করে। একপর্যায়েসে আমার দ্বিতীয় স্বামীর কাছে  যোগাযোগ করার কারণে আমার দ্বিতীয় সংসার ভেঙ্গে যায়। তারপর মানিক বিদেশে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।  কিন্তু বিদেশ থেকে এসে এখন সে আমাকে স্বামীর অধিকার দিচ্ছে না। বহু অপেক্ষা করেও অধিকার না পাওয়ায় স্ত্রীর অধিকার দাবিতে অনশন করছি। এই বিষয় আনোয়ার হোসেন সাথে ফোনে কথা বললে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
অনশনকালে আনোয়ার হোসেন মানিক ও তার পরিবারের কেউ বাড়িতে উপস্থিত ছিলো না। তারা আগেই ঘরের তালা বদ্ধ করে চলে যায়।
১০ নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ ভুঁইয়া বলেন , বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি(তদন্ত) কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল জানান, সীমা আক্তার ৯৯৯ কল করেছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদকে সুরাহা করার জন্য বলা হয়েছে।