বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

  • আপডেট: ০৯:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • ১৬

পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জে সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২২টি ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার কারণে জেলার ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির পাট-আউস ধানসহ শাক-সবজি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে প্রায় চার শতাধিক বসতভিটা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে বন্যা এলাকায় এখনো সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
গত বছরের তালিকা অনুযায়ী গত দুদিনে কাজিপুর ও চৌহালীতে ভাঙনের শিকার প্রায় দেড় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার করে টাকাসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার কারণে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। কোরবানির আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে না পারায় গবাদি পশু স্বাস্থ্যহীনতা হতে শুরু করায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বন্যার কারণে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর জানান, চলতি বছর বন্যায় ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউস ধান, পাট, তীল, কাউন ও বাদামসহ শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকার পর আবারও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও যেসকল পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেখানে জিওব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

শাহরাস্তিতে প্রবাসীর ঘরে দুর্ধর্ষ চুরি

বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

আপডেট: ০৯:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জে সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২২টি ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আরও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার কারণে জেলার ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির পাট-আউস ধানসহ শাক-সবজি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে প্রায় চার শতাধিক বসতভিটা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে বন্যা এলাকায় এখনো সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।
গত বছরের তালিকা অনুযায়ী গত দুদিনে কাজিপুর ও চৌহালীতে ভাঙনের শিকার প্রায় দেড় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার করে টাকাসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার কারণে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। কোরবানির আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে না পারায় গবাদি পশু স্বাস্থ্যহীনতা হতে শুরু করায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বন্যার কারণে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর জানান, চলতি বছর বন্যায় ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউস ধান, পাট, তীল, কাউন ও বাদামসহ শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা স্থিতিশীল থাকার পর আবারও ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও যেসকল পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেখানে জিওব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।