অনলাইন ডেস্ক :
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকালে নির্বাচন ভবনে ইভিএম যাচাই-বাছাই করা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এমন কথা বলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। একজন প্রশ্ন করেন ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়ার পর কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন তার একটি কাগজ তার হাতে দেওয়ার সুযোগ আছে কিনা?
জবাবে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাতে নিরাপত্তার সমস্যা হবে। কারণ ভোট দিয়ে বেরোনোর পর অন্য প্রার্থী শক্তিশালী হলে সমস্যা হতে পারে। নিরাপত্তার বিষয়ও আছে।
তখন পাল্টা প্রশ্ন করেন ওই রাজনৈতিক দলের নেতা। কমিশনের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, তাহলে ঘরে বসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আরও নিরাপদ হবে। তখন কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটের পরে কাগজ দিলে সমস্যা হতে পারে। আর আমাদের বিদ্যমান আইনও সাপোর্ট করে না।
সিইসি বলেন, ঘরে বসে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন কেউ কেউ। আমি অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কিছু দেশে খোঁজ নিয়েছি। আসলে একদিন হয়তো এই সিস্টেম হবে। তখন হয়তো মোবাইলের মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর কোনো একটি পেপার বের হবে এমন কোনো পদ্ধতি আছে কিনা। কারণ অনেক ধরণের ঝামেলা হয় ভোটের সময়। তাই প্রতীক, সিলযুক্ত পেপার বের হলে আমি যাকে ভোট দিলাম সেটা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা যাবে।
এর জবাবে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইভিএমে ভোট দেওয়ার পর আবার পেপার বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মূফতী ফয়জুল্লাহ ইসির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ভালো ভোট করতে পারবেন এমনটা বিশ্বাস করতে চাই। কারণ সবাই যোগ্য। কিন্তু আপনারা যদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চান তাহলে মেরুদণ্ড সোজা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করতে হবে। নিরপেক্ষ অবস্থান তৈরি কিভাবে করবেন সেটা ভাবা উচিত।