• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২২ জুন, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ২২ জুন, ২০২২

নিয়মবর্হিভূতভাবে পুকুর খনন: শাহরাস্তিতে প্রশাসনিক ভবনসহ ৪টি ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স পুকুর খনন উন্নয়ন কাজে মরণফাঁদ” আতঙ্কে বসবাস করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা

শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স পুকুর খনন উন্নয়ন কাজে মরণফাঁদ প্রশাসনিক ভবন  ও আবাসিকসহ ৪টি ভবন ধসে পড়ার হুমকির মুখে হয়ে পড়েছে। শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের পুকুর খনন উন্নয়ন প্রকল্প এখন সকলের ভয়ে আতঙ্কের কারণ হয়ে পড়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে পুকুরের চারপাশে থাকা ভবনগুলো।

ইতিমধ্যেই প্রকল্পটি পুকুরে তলিয়ে গিয়েছে চারপাশের পাড়,  ভাঙ্গনের মুখে আতঙ্ক নিয়ে বাস করেছে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এরই মধ্যে কেউ কেউ বাসা ছেড়ে চলে গেছেন আবার অনেকেই অন্যজায়গায় বাসা ভাড়া নিতে  খুঁজছেন।

জানা যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে পুকুর ও খাল খনন উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স পুকুর ও  চিতোষী আর এম উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর খনন উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে ৮৪ লক্ষ ৩১ হাজার টাকার চুক্তিমূল্য চাঁদপুরের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আলিফ এন্টারপ্রাইজ কাজ শুরু করে।

পুকুরের মাঝখানে থেকে ভেকু দিয়ে চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়।  তড়িঘড়ি করে পুকুর খননের কাজ সমাপ্ত করা হয়। ওয়াকওয়ে নির্মাণের  সপ্তাহ পার না হতেই চারপাশ থেকে ওয়াকের মাটি ধসে পড়তে থাকে।  পুকুরটি বারবার সেচেও  প্রকল্পের বাকি কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ঠিকাদার।

বর্তমানে পুকুরটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা ব্যক্তিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চারপাশের থাকা ভবনগুলো ধসে পড়ার হুমকির মুখে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান বেলে মাটির কারণে চারপাশের মাটিগুলো ধসে পড়েছে এখানে এই প্রকল্পটি দেওয়া ঠিক হয়নি।মাটি ধস ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান পুকুর খনন উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে চারপাশে যেভাবে ধ্বসে পড়েছে রাতে আমাদের ঘুম হয়না। কখন ভবনটি ধসে পড়ে সেই চিন্তায় ছিলাম। এখানে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করা যাবেনা। এখন পরিষদের বাইরে বাসা খুঁজছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন রশীদ জানান এ প্রকল্পটি আমাদের উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করে ফেলেছে। এটি আমাদের ভালো পাড়ও ভেঙে ফেলছে।  এখন আমাদের ভাঙ্গন ঠেকাতে হবে,  আমি উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি। এমপি স‍্যারের বিশেষ বরাদ্দ থেকে প্যালাসাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে ভাঙ্গন ঠেকানো গেলে পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • শাহরাস্তি এর আরও খবর
error: Content is protected !!