‘প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে কারো প্ররোচনা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে’

  • আপডেট: ০৭:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯
  • ৭৭

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগকারী প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে কারও হাত আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখবে সরকার। তিনি এও বলেন, প্রিয়া সাহার বিষয়ে রয়েসয়ে এগোতে চায় সরকার।

সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রিয়া সাহার বিষয়ে আমরা রয়েসয়ে এগোতে চাই। মশা মারতে আমরা কামান দাগাতে চাই না। তবে বিষয়টি আমরা তুচ্ছ মনে করছি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রিয়া সাহা কার প্ররোচনায় এ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তার গভীরে আমরা যাব। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে অন্য কারও হাত রয়েছে কিনা দেশে ফেরার পর তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অবাক হওয়ার বিষয় হলো- প্রিয়া সাহা তার মিথ্যা বক্তব্যের ব্যাপারে অটল রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে টেনে এনেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কখনই তিন কোটি ৭০ লাখ গুমের তথ্য দেননি।’

প্রসঙ্গত গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

এর পর তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একপর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীল হয়ে ওই নারীর সঙ্গে হাত মেলান।

কারা এমন নিপীড়ন চালাচ্ছে? ট্রাম্পের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।’

প্রিয়া সাহার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির বহু উদাহরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। বাংলাদেশ যেখানে ধর্মীয় সম্প্রতির মডেল হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে, সেখানে বিদেশ গিয়ে প্রিয়া সাহার এমন নালিশ দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করছে বলেও মনে করেন তারা।

এ ঘটনায় সমালোচিত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা গতকাল রোববার এক ভিডিওবার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশের ব্যাখ্যা এবং ঘটনার পর নিজেরসহ পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার বিষয় তুলে ধরেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেয়া হবে না-রিজভী

‘প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে কারো প্ররোচনা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হবে’

আপডেট: ০৭:৫২:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগকারী প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে কারও হাত আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখবে সরকার। তিনি এও বলেন, প্রিয়া সাহার বিষয়ে রয়েসয়ে এগোতে চায় সরকার।

সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রিয়া সাহার বিষয়ে আমরা রয়েসয়ে এগোতে চাই। মশা মারতে আমরা কামান দাগাতে চাই না। তবে বিষয়টি আমরা তুচ্ছ মনে করছি না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রিয়া সাহা কার প্ররোচনায় এ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তার গভীরে আমরা যাব। প্রিয়া সাহার বক্তব্যের পেছনে অন্য কারও হাত রয়েছে কিনা দেশে ফেরার পর তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অবাক হওয়ার বিষয় হলো- প্রিয়া সাহা তার মিথ্যা বক্তব্যের ব্যাপারে অটল রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে টেনে এনেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কখনই তিন কোটি ৭০ লাখ গুমের তথ্য দেননি।’

প্রসঙ্গত গত ১৬ জুলাই ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার ২৭ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ১৬ দেশের প্রতিনিধি অংশ নেন। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহাও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। বাংলাদেশে তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নিখোঁজ রয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

এর পর তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো বিচার পাইনি।

ভিডিওতে দেখা গেছে, একপর্যায়ে ট্রাম্প নিজেই সহানুভূতিশীল হয়ে ওই নারীর সঙ্গে হাত মেলান।

কারা এমন নিপীড়ন চালাচ্ছে? ট্রাম্পের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘দেশটির মৌলবাদীরা এসব করছে। তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে।’

প্রিয়া সাহার দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির বহু উদাহরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। বাংলাদেশ যেখানে ধর্মীয় সম্প্রতির মডেল হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে, সেখানে বিদেশ গিয়ে প্রিয়া সাহার এমন নালিশ দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করছে বলেও মনে করেন তারা।

এ ঘটনায় সমালোচিত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা গতকাল রোববার এক ভিডিওবার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশের ব্যাখ্যা এবং ঘটনার পর নিজেরসহ পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার বিষয় তুলে ধরেন।