সবজির বাজারে আগুন

  • আপডেট: ০৪:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯
  • ৮৭

অনলাইন ডেস্ক:

বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মৌসুম না হলেও মিলছে শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, শসা, টমেটো, বেগুনসহ গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি। এরপরও সবজির দাম কমার পরিবর্তে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বিক্রেতারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।

অন্যদিকে বেশ চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে সব ধরনের মসলা। তবে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে গরু ও খাসির মাংস। কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম।

শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর কাঁঠালবাগান, কলাবাগান, হাতিরপুল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি পটল বিক্রি করতে দেখা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তা ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ১১০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচাকলা ২৫ থেকে ৪০ টাকা হালি, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে দুইশ টাকায়। অথচ এসব সবজির দাম দুই সপ্তাহ আগেও ছিলো ৩০-৫০ টাকায়।

এদিকে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। হাসিবুল ইসলাম হাসি নামে খিলগাঁও বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এখন দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা। এ কারণে পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম হওয়ায় আমাদের বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আর এ দামের প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তার দাবি, সবজির দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারের ব্যবধান খুব বেশি না।

তবে তার সঙ্গে একমত না মিনারা নামে এক ক্রেতা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শীতকাল না হলেও বাজারে এখন শীতের সবজি এসেছে, সঙ্গে মৌসুমের সবজিতো আছেই। তাহলে কেনো বন্যার অজুহাত। আসলে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দাম বাড়াচ্ছে। তাদের কারণেই প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে সবজিসহ মসলার দাম।

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক। প্রতি আঁটি লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কুমড়ার শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, পুঁই শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলমি শাক ৭ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

ঈদুল আজহা আসতে তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও এরই মধ্যে দাম চড়া মসলার বাজারে। এসব বাজারে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা কেজি দরে, জয়ত্রী ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকায়, লবঙ্গ ৮৫০ টাকায়, গোল মরিচ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, দারুচিনি ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে দেশি রসুন ১৭০ টাকা, ভারতীয় ১৯০ টাকা, আদা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পিঁয়াজ দেশি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ভারতীয় ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে এসব বাজার কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কমেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস এর আগে ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে মহিষের মাংস। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগি ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বয়লার ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খলিল নামে এক মাংস বিক্রেতা বলেন, বন্যার কারণে উত্তরঞ্চলে পশুর দাম কমেছে। এ কারণে আমরা কম দামে গরু-ছাগল কিনেছি, তাই মাংসের দাম কিছুটা কমেছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম। তবে চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

সবজির বাজারে আগুন

আপডেট: ০৪:২৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯

অনলাইন ডেস্ক:

বাজারে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। মৌসুম না হলেও মিলছে শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, শসা, টমেটো, বেগুনসহ গ্রীষ্মকালীন সব ধরনের সবজি। এরপরও সবজির দাম কমার পরিবর্তে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বিক্রেতারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম, তাই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি।

অন্যদিকে বেশ চড়া দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে সব ধরনের মসলা। তবে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে গরু ও খাসির মাংস। কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম।

শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীর কাঁঠালবাগান, কলাবাগান, হাতিরপুল, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি পটল বিক্রি করতে দেখা গেছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তা ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ১১০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচাকলা ২৫ থেকে ৪০ টাকা হালি, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতি পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে দুইশ টাকায়। অথচ এসব সবজির দাম দুই সপ্তাহ আগেও ছিলো ৩০-৫০ টাকায়।

এদিকে সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। হাসিবুল ইসলাম হাসি নামে খিলগাঁও বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এখন দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা। এ কারণে পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম হওয়ায় আমাদের বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আর এ দামের প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে। তার দাবি, সবজির দাম পাইকারি ও খুচরা বাজারের ব্যবধান খুব বেশি না।

তবে তার সঙ্গে একমত না মিনারা নামে এক ক্রেতা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শীতকাল না হলেও বাজারে এখন শীতের সবজি এসেছে, সঙ্গে মৌসুমের সবজিতো আছেই। তাহলে কেনো বন্যার অজুহাত। আসলে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দাম বাড়াচ্ছে। তাদের কারণেই প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে সবজিসহ মসলার দাম।

বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের শাক। প্রতি আঁটি লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কুমড়ার শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, পুঁই শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলমি শাক ৭ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

ঈদুল আজহা আসতে তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও এরই মধ্যে দাম চড়া মসলার বাজারে। এসব বাজারে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা কেজি দরে, জয়ত্রী ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকায়, লবঙ্গ ৮৫০ টাকায়, গোল মরিচ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, দারুচিনি ৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অন্যদিকে দেশি রসুন ১৭০ টাকা, ভারতীয় ১৯০ টাকা, আদা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পিঁয়াজ দেশি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ভারতীয় ৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে এসব বাজার কেজিপ্রতি ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কমেছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। গরুর মাংস এর আগে ৬০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। একই দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে মহিষের মাংস। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগি ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি পিস ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি হালি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বয়লার ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খলিল নামে এক মাংস বিক্রেতা বলেন, বন্যার কারণে উত্তরঞ্চলে পশুর দাম কমেছে। এ কারণে আমরা কম দামে গরু-ছাগল কিনেছি, তাই মাংসের দাম কিছুটা কমেছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলের দাম। তবে চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়