হাইমচরে মোবাইল গেমে আসক্ত কিশোরের আত্মহনন

  • আপডেট: ০২:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • ৩৬

নিজস্ব প্রতিনিধি॥

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নে মোবাইল গেমে আসক্ত জনি গাজী (১৮) নামে কিশোর গাছের সাথে উড়না পেচিয়ে আত্মহনন করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়া বগুলা গ্রামো গাজী বাড়ীর খাল পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। জনি ওই বাড়ীর জেলে দেলোয়ার গাজীর ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দাদন প্রধানিয়া বলেন, জনির আত্মহত্যার খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। লোকজন জানালেন তার সাথে কারো কোন বিবাদ ছিলনা। সবার সাথে তার ভাল সম্পর্ক ছিল। তবে সে মোবাইলে গেম খেলত। তার মা বলেছেন মাঝে মাঝে তারা মাথা গরম হয়ে যেত। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, এই মুহুর্তে বলতে পারছি না।

প্রতিবেশী শিমুল চোকদার জানান, সকাল ৭টার দিকে আমার মা বলছেন দেলোয়ার গাজীর ছেলে আত্মহত্যা করেছে। এসে দেখি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। তাৎক্ষনিক হাইমচর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, তার মা আমাকে জানায় রাতে সে বলেছে মা তুমি আমাকে ফজরের নামাজের সময় জাগিয়ে দিও। মা সকালে জনিকে জাগিয়ে দেয়। সে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়, আর ফিরে আসে না। কিছুক্ষণ পরে ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দাদন চোকদারের স্ত্রী খালপাড়ে কাজে গিয়ে দেখেন গাছের মধ্যে জনি ফাঁসি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায়। পরে তিনি ডাক চিৎকার দিলে সব লোকজন এগিয়ে আসে।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বাকী বিষয় জানাযাবে। তবে মোবাইল গেমের কারণে আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদেরকে কেউ জানায়নি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য মোতাহার হোসেন পাটোয়ারী’র সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম

হাইমচরে মোবাইল গেমে আসক্ত কিশোরের আত্মহনন

আপডেট: ০২:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি॥

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নে মোবাইল গেমে আসক্ত জনি গাজী (১৮) নামে কিশোর গাছের সাথে উড়না পেচিয়ে আত্মহনন করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ পাড়া বগুলা গ্রামো গাজী বাড়ীর খাল পাড়ে এই ঘটনা ঘটে। জনি ওই বাড়ীর জেলে দেলোয়ার গাজীর ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দাদন প্রধানিয়া বলেন, জনির আত্মহত্যার খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আসি। লোকজন জানালেন তার সাথে কারো কোন বিবাদ ছিলনা। সবার সাথে তার ভাল সম্পর্ক ছিল। তবে সে মোবাইলে গেম খেলত। তার মা বলেছেন মাঝে মাঝে তারা মাথা গরম হয়ে যেত। কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে, এই মুহুর্তে বলতে পারছি না।

প্রতিবেশী শিমুল চোকদার জানান, সকাল ৭টার দিকে আমার মা বলছেন দেলোয়ার গাজীর ছেলে আত্মহত্যা করেছে। এসে দেখি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায়। তাৎক্ষনিক হাইমচর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, তার মা আমাকে জানায় রাতে সে বলেছে মা তুমি আমাকে ফজরের নামাজের সময় জাগিয়ে দিও। মা সকালে জনিকে জাগিয়ে দেয়। সে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়, আর ফিরে আসে না। কিছুক্ষণ পরে ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দাদন চোকদারের স্ত্রী খালপাড়ে কাজে গিয়ে দেখেন গাছের মধ্যে জনি ফাঁসি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায়। পরে তিনি ডাক চিৎকার দিলে সব লোকজন এগিয়ে আসে।

হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বাকী বিষয় জানাযাবে। তবে মোবাইল গেমের কারণে আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদেরকে কেউ জানায়নি।