• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১৮ মে, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ১৮ মে, ২০২২

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে কচুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]
কচুয়ায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন কাদলা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর ই আলম।

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব॥
মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইউপি চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে কচুয়ায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার কাদলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কাদলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরে ই আলম (রিহাত)।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, আমার এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় আমার বিরুদ্ধে গুলবাহার গ্রামের বেপারী বাড়ির জনৈক ইরানী বেগমের বসত ঘরে ভাংচুর, মালামাল লুট, শ্লিলতাহানির অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাঁদপুরের একটি পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করেছে একটি কুচক্রী মহল। আমি ওই সংবাদ ও কাল্পনিক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ইউপি নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে জয় লাভ করায় একটি কুচক্রী মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক ইমেজ ক্ষুন্ন করার লক্ষে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আসছে। ঈর্ষান্বিত মহলটি এলাকার মাদকসেবী ও মাদকব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত বখাটে যুবকদের হাত করে এ মিথ্যা সংবাদ প্রচারসহ আমার সমাজের কল্যানে নেওয়া বিভিন্ন অভিযানে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরো দাবী করেন, বেপারী বাড়িতে মারামারির ঘটনার সময় আমি পাশ্ববর্তী মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব বাজার এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম। মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আমাকে ফোন দেন। ওসি সাহেবের ফোন পেয়ে আমি মতলব থেকে ঘটনাস্থলে আসি। ওসি সাহেবের উপস্থিতিতে ইরানী বেগমের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন।

পরবর্তীতে পুলিশ উক্ত ঘটনা তদন্ত করে ইরানী বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মূলত ইরানী বেগমের লোকজনরা আমার চাচাতো ভাইসহ ১০-১২জনকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহতরা উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করে। উক্ত ঘটনার দুদিন পর আমার ইউনিয়ন পরিষদে একটি কুচক্রী মহল হামলা চালায়। আমার ধারনা ইরানী বেগমের লোকজন এই হামলার সাথে জড়িত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য নেতৃবৃন্দ এবং কচুয়া প্রেসকাবের বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

error: Content is protected !!