চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জি. মমিনুল হককে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার দায়ে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজপত্রে উল্লেখ করা হয়, নির্দেশিতহ হয়ে জানাচ্ছি যে, ০২ এপ্রিয় ২০২২ তারিখে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১। আপনি উক্ত সম্মেলন ও কাউন্সিলে সহযোগিতা না করে বরং তা বানচালের লক্ষে একই তারিখে (০২ এপ্রিল-২০২২) চাঁদপুর জেলাধীন শাহরাস্তি উপজেলায় জেলা বিএনপির নামে পাল্টা কাউন্সিল অনুষ্ঠান করেছেন।
২। আপনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গত ৩০ মার্চ ২০২২ তারিখে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশ্যে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলকে নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন।
৩। সুতরাং এ ধরণের কার্যকলাপের জন্য কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা, তার যথাযথ ব্যাখ্যা দিয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদন দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামী ০৩ (তিন) দিনের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (২ এপ্রিল) বাগাদীস্থ নানুপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশন শেষে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এবারের সম্মেলনে ভোটার সংখ্যা ছিলো ১৫১৫ জন। ৯৯২ জন ভোটার ব্যালট পেপারেরর মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ছাতা প্রতিকে পেয়েছেন ৯২৭ ও সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডঃ সলিমুল্লাহ সেলিম মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৯২ ভোট।
নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে সভাপতি পদে মমিনুল হক সাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৩, কামাল চৌধুরী চেয়ার পদে পেয়েছেন ১১ ভোট। সভাপতি পদে ভোট বাতিল হয়েছে ৩১টি।
অপর দিকে হাজীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফল ঘোষণা করে বিএনপির একটি অংশ। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি পদে ইঞ্জি. মমিনুল হক পেয়েছে ৭১১ ভোট, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক পেয়েছে ১১ ভোট ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা এসএম কামাল চৌধুরী পেয়েছে ৮২ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিম পেয়েছে ১ ভোট, দেওয়ান সফিকুজ্জামান পেয়েছে ৪১ ভোট, মোস্তফা খান সফরী পেয়েছে ৬৫৮ ভোট ও কাজী গোলাম মোস্তফা পেয়েছে ১০৪ ভোট।