বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকারের ওপর এদেশের মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। তাদেরকে সরে যেতে হবে। আর একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই আন্দোলন আমাদের শুরু করতে হবে।
শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে’ এক প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। সকাল ১০টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতেরর মধ্যে এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার জনগণকে স্বস্তি দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে আমাদের চাল, ডাল, তেল, লবণসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে। এই সরকার কি করছে? তাদের সম্পূর্ণ যে ব্যর্থতা এবং তাদের লাগামহীন যে লোভ এবং তাদের সিন্ডিকেটে লোভের কারণে প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্য আকাশচুম্বি হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজকে ভয়াবহভাবে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে এই ‘অনির্বাচিত’ আওয়ামী লীগ সরকার। তাদেরকে যদি আমরা পরাজিত করতে না পারি, তাদেরকে যদি ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে না পারি তাহলে এদেশের মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না।
এদিকে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই ব্যানার ও ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগর বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং থানার নেতাকর্মীদেরকে কর্মসূচিতে জড়ো হতে দেখা গেছে। অনশনে নেতাকর্মীরা দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ মুখরিত করে তুলেছেন।
প্রতীকী অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মৎস্য ভবন, কদম ফোয়ারা, পল্টনসহ প্রেসক্লাবের আশেপাশে কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লা আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অনশনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ কয়েকশ নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন।