জামাই-শাশুড়ির প্রেম, শ্বশুরের আত্মহত্যা

  • আপডেট: ০৮:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯
  • ৮১

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জামাই-শাশুড়ির প্রেমের কারণে শ্বশুর আত্মহত্যা করেছে বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে শ্বশুর আসাদুল ইসলাম (৪০)।

আসাদুল উপজেলার মহেশ্বরচাদা গ্রামের সবের আলী মণ্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত জামাতা বিল্লাল হোসেন (২০) ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে আটকে রেখেছে।

প্রতিবেশীরা জানান, আসাদুল ইসলামের নিজের মেয়ের জামাই পার্শ্ববর্তী শালিখা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল এমন বিষয় নিয়ে আসাদুল ও সুফিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া লেগেই থাকতো। বুধবার দুপুরে আসাদুল ও সুফিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর আসাদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করে। স্থানীয়রা উদ্ধারকরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মহেশ্বরচাদা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানান, গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ জামাই বিল্লাল হোসেন ও শাশুড়ির সুফিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে নাকি বুধবার বিকেলে কীটনাশক পান করে আসাদুল। এরপর সে হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনার পর জামাই বিল্লাল হোসেন ও সুফিয়াকে গ্রামবাসী আটক করে একটি ঘরে রেখেছে।

তবে জামাই বিল্লাল হোসেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে ৪ মাস। আমি মোটর গাড়িতে কাজ করি। আমার সময় কখন শাশুড়ির সাথে প্রেম করার। আমার নতুন বউ। সব সাজানো নাটক এবং গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

জামাই-শাশুড়ির প্রেম, শ্বশুরের আত্মহত্যা

আপডেট: ০৮:২৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০১৯

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে জামাই-শাশুড়ির প্রেমের কারণে শ্বশুর আত্মহত্যা করেছে বলে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করে শ্বশুর আসাদুল ইসলাম (৪০)।

আসাদুল উপজেলার মহেশ্বরচাদা গ্রামের সবের আলী মণ্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অভিযুক্ত জামাতা বিল্লাল হোসেন (২০) ও শাশুড়ি সুফিয়া খাতুনকে আটকে রেখেছে।

প্রতিবেশীরা জানান, আসাদুল ইসলামের নিজের মেয়ের জামাই পার্শ্ববর্তী শালিখা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে স্ত্রী সুফিয়া খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল এমন বিষয় নিয়ে আসাদুল ও সুফিয়ার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া লেগেই থাকতো। বুধবার দুপুরে আসাদুল ও সুফিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর পর আসাদুল ইসলাম পাশ্ববর্তী মাঠে গিয়ে কীটনাশক পান করে। স্থানীয়রা উদ্ধারকরে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মহেশ্বরচাদা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল গনি জানান, গ্রামবাসী ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ জামাই বিল্লাল হোসেন ও শাশুড়ির সুফিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারণে নাকি বুধবার বিকেলে কীটনাশক পান করে আসাদুল। এরপর সে হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনার পর জামাই বিল্লাল হোসেন ও সুফিয়াকে গ্রামবাসী আটক করে একটি ঘরে রেখেছে।

তবে জামাই বিল্লাল হোসেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, আমার বিয়ে হয়েছে ৪ মাস। আমি মোটর গাড়িতে কাজ করি। আমার সময় কখন শাশুড়ির সাথে প্রেম করার। আমার নতুন বউ। সব সাজানো নাটক এবং গ্রামবাসী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না।