অনলাইন ডেস্ক:
ফেসবুকের মাধ্যমে দুই কিশোরীর মধ্যে গড়ে ওঠে অস্বাভাবিক প্রেমের সম্পর্ক। দুই বছর ধরে চলে প্রেম। সশরীরে সাক্ষাৎও হয়েছে বিলকিস ও আঁখি নামের এ দুই কিশোরীর। প্রেমের টানে আবারো একত্র হয়েছে তারা।
তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আঁখিকে বিয়ে করতে সোমবার রাতে নোয়াখালী থেকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় চলে এসেছে বিলকিস।
এ ঘটনা নিয়ে চলছে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা। তাদের দেখতে ভিড় করছে এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, বিলকিছ ও আঁখির সঙ্গে প্রায় দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেই থেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের টানে তারা প্রায় দুই মাস আগে ঢাকার সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় রাত্রীযাপন করে। এরপর সেখান থেকে তারা সিরাজগঞ্জের চৌহালী গিয়ে এক সঙ্গে থাকে। সেখানে স্থানীয়দের এই দুই কিশোরীর আচরণ সন্দেহজনক হলে তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সবশেষ রবিবার (২০ মার্চ) বিলকিছ ও আঁখির ফোনে কথা হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিলকিছ টাঙ্গাইল শহরে এলে আঁখি স্কুল থেকে সেখানে গিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। ওই রাতেই তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত জানায় পরিবারকে।
আঁখির বাবা বলেন, ‘আমি আঁখিকে দেড় মাস বয়সে পালতে এনেছি। ও আমার আদরের একমাত্র সন্তান। তার এমন কাণ্ডে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। নোয়াখালীর ওই মেয়েটিকে তার বাড়িতে চলে যেতে বলছি, তবে সে যাচ্ছে না। সে কিছুতেই আঁখিকে ছাড়া যাবে না। পরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা এখানে আসবে না বলে আমাকে জানায়। প্রশাসনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। ‘
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেকান্দার আলী স্বপন বলেন, নোয়াখালীর ওই মেয়েটি রবিবার সন্ধ্যায় এসেছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। দুই কিশোরীর দাবি তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকবে না। তারা গার্মেন্টে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে বলে জানায়।
আঁখি ও বিলকিছ বলে, ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে। আমরা এখন কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারব না। প্রয়োজনে আমরা বাড়ি ছেড়ে গার্মেন্টে চাকরি করে দুজনে থাকব।
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নোয়াখালীর মেয়েটির পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, ফুলকী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। অভিভাবকের কাছে মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। সেটা না হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।