পদ্মা-মেঘনায় বালু উত্তোলনে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ

  • আপডেট: ০৯:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২
  • ৩৪

ছবি-সংগৃহিত।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় শত শত ড্রেজার বসিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত নৌযানগুলো জব্দের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। একই সঙ্গে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ মার্চ) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিদফতর, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ নির্দেশ দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) থেকে নদীতে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।

২০১৫ সাল থেকে পদ্মা-মেঘনায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের একটি চক্র। ইলিশ ও নদীর জীববৈচিত্র রক্ষা, নদীভাঙন রোধে এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলো নদী রক্ষা কমিশন।

বৈঠকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতির দিকসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাসরিন আনম সাথী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাকির হোসেন, মৎস্য অধিদফতরের উপ-প্রধান মাসুদ আরা মমি, নদী রক্ষা কমিশনের সচিব মঞ্জুরুল কাদের, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের ন্যাচারাল রিসোর্স এক্সপার্ট মো. মিজানুর রহমান, ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের এনভায়রনমেন্ট এক্সপার্ট মো. মনির হোসেন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুর রউফ, পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসকের চিঠির পরিপ্রক্ষিতে আজকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়াও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, দেশের নদীগুলোতে ইলিশের যে অভয়ারণ্য রয়েছে তার মধ্যে একটি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকা। এর মধ্যে চাঁদপুরের নদী এলাকা রয়েছে ৭০ কিলোমিটার। এটি হচ্ছে ইলিশের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য। মৎস্য বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই এলাকায় অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে ইলিশের খাবার কমে গেছে। ইলিশ আসা কমে গেছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যগুলো শুনে কমিশনের পক্ষ থেকে একটা সুপারিশ করেছি।

তিনি আরও বলেন, নদীর গার্ডিয়ান হিসেবে নদী রক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ দেখতেই হবে। ইলিশ যদি একবার দিক পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে ইলিশ থেকে বঞ্চিত হবো। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা এই ধরনের অবৈধ কাজ করতে সহযোগিতা করে তারা জাতির শত্রু। অবিলম্বে নদী থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সবার সহযোগিতায় বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও নৌযানগুলো জব্দ করতে হবে।

নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কমিশনকে জানিয়েছেন উচ্চ আদালতের আদেশের কথা বলে তারা বালু উত্তোলন করছে। আমরা তাদের বলেছি, আদালতের আদেশ মেনে যদি তারা বালু উত্তোলন করতো তাহলে এমনটি হতো না। আদালত তাদের কয়েকটি নির্দিষ্ট মৌজায় ড্রেজিংয়ের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু সেই মৌজাগুলো কোথায় তার কোনও ম্যাপ তাদের কাছে নেই। তাছাড়া আদালত তাদের বালু বিক্রির আদেশ দেননি। অথচ তারা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। কাজেই জেলা প্রশাসককে আমি বলেছি, তারা বালু যখনই অন্য জায়গায় নিচ্ছে তখনই এটি চোরাই জিনিস হয়ে যাচ্ছে। ডিসিও বলেছেন, সে হিসেবে ওরা বালু চোর।

তিনি আরও বলেন, বালু ব্যবসায় যারা সম্পৃক্ত তাদের তিন শতাধিক নৌযান রয়েছে। সেগুলো জব্দ করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের লাইসেন্স আছে কিনা সেগুলো পরীক্ষা করতে হবে। তারা অবৈধভাবে বালু তুলছে। কারণ, মাটি এবং বালু উত্তোলন বিধি অনুযায়ী তা উত্তোলন করতে হবে। সেটি তারা করছে না। তাই আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেফতারের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ অ্যাকশন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখানে যেহেতু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে তাই অধিদফতরকে আদালত চালু করার নির্দেশ দিয়েছি। এটি করার জন্য অনুমতি নিতে হবে না।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকেই প্রশাসন অভিযান শুরু করবে। জেলা প্রশাসন যদি তা না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কাছে সুপারিশ করবো। এখানে কোনও আইনি বাধা নেই। তারা বলছেন, প্রভাবশালীদের ভয়ে কাজটি করতে পারছেন না। আমি তাদের বলেছি, ভয় পেলে চলবে না। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নির্দেশ দিয়েছি, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেই হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর নদী অঞ্চল থেকে গত কয়েক বছর ধরেই অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ একটি চক্র। ফলে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশ সম্পদসহ নদীর জীববৈচিত্র্য। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। সবশেষ বালু উত্তোলন বৈধ করতে সরকারি রয়্যালটি, ভ্যাট ও আয়কর বাবদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১৩ কোটি টাকা ৭১ লাখ টাকা দেওয়ার আবেদন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান। (বাংলা ট্রিবিউন)

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাজীগঞ্জে বাজার তদারকি অভিযানে ২ প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

পদ্মা-মেঘনায় বালু উত্তোলনে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ

আপডেট: ০৯:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনায় শত শত ড্রেজার বসিয়ে গত কয়েক বছর ধরে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত নৌযানগুলো জব্দের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। একই সঙ্গে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ মার্চ) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য অধিদফতর, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ নির্দেশ দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) থেকে নদীতে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার কথা রয়েছে জেলা প্রশাসনের।

২০১৫ সাল থেকে পদ্মা-মেঘনায় অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে আসছে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের একটি চক্র। ইলিশ ও নদীর জীববৈচিত্র রক্ষা, নদীভাঙন রোধে এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলো নদী রক্ষা কমিশন।

বৈঠকে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে ক্ষতির দিকসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব নাসরিন আনম সাথী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাকির হোসেন, মৎস্য অধিদফতরের উপ-প্রধান মাসুদ আরা মমি, নদী রক্ষা কমিশনের সচিব মঞ্জুরুল কাদের, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের ন্যাচারাল রিসোর্স এক্সপার্ট মো. মিজানুর রহমান, ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের এনভায়রনমেন্ট এক্সপার্ট মো. মনির হোসেন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো. আব্দুর রউফ, পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. ইউসুফ আলীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসকের চিঠির পরিপ্রক্ষিতে আজকে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ছাড়াও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, দেশের নদীগুলোতে ইলিশের যে অভয়ারণ্য রয়েছে তার মধ্যে একটি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকা। এর মধ্যে চাঁদপুরের নদী এলাকা রয়েছে ৭০ কিলোমিটার। এটি হচ্ছে ইলিশের সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য। মৎস্য বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই এলাকায় অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের ফলে ইলিশের খাবার কমে গেছে। ইলিশ আসা কমে গেছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যগুলো শুনে কমিশনের পক্ষ থেকে একটা সুপারিশ করেছি।

তিনি আরও বলেন, নদীর গার্ডিয়ান হিসেবে নদী রক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ দেখতেই হবে। ইলিশ যদি একবার দিক পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে ইলিশ থেকে বঞ্চিত হবো। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যারা এই ধরনের অবৈধ কাজ করতে সহযোগিতা করে তারা জাতির শত্রু। অবিলম্বে নদী থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে। পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সবার সহযোগিতায় বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও নৌযানগুলো জব্দ করতে হবে।

নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কমিশনকে জানিয়েছেন উচ্চ আদালতের আদেশের কথা বলে তারা বালু উত্তোলন করছে। আমরা তাদের বলেছি, আদালতের আদেশ মেনে যদি তারা বালু উত্তোলন করতো তাহলে এমনটি হতো না। আদালত তাদের কয়েকটি নির্দিষ্ট মৌজায় ড্রেজিংয়ের অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু সেই মৌজাগুলো কোথায় তার কোনও ম্যাপ তাদের কাছে নেই। তাছাড়া আদালত তাদের বালু বিক্রির আদেশ দেননি। অথচ তারা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। কাজেই জেলা প্রশাসককে আমি বলেছি, তারা বালু যখনই অন্য জায়গায় নিচ্ছে তখনই এটি চোরাই জিনিস হয়ে যাচ্ছে। ডিসিও বলেছেন, সে হিসেবে ওরা বালু চোর।

তিনি আরও বলেন, বালু ব্যবসায় যারা সম্পৃক্ত তাদের তিন শতাধিক নৌযান রয়েছে। সেগুলো জব্দ করার জন্য জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছি। তাদের লাইসেন্স আছে কিনা সেগুলো পরীক্ষা করতে হবে। তারা অবৈধভাবে বালু তুলছে। কারণ, মাটি এবং বালু উত্তোলন বিধি অনুযায়ী তা উত্তোলন করতে হবে। সেটি তারা করছে না। তাই আইন অনুযায়ী তাদের গ্রেফতারের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ অ্যাকশন নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখানে যেহেতু পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে তাই অধিদফতরকে আদালত চালু করার নির্দেশ দিয়েছি। এটি করার জন্য অনুমতি নিতে হবে না।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকেই প্রশাসন অভিযান শুরু করবে। জেলা প্রশাসন যদি তা না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কাছে সুপারিশ করবো। এখানে কোনও আইনি বাধা নেই। তারা বলছেন, প্রভাবশালীদের ভয়ে কাজটি করতে পারছেন না। আমি তাদের বলেছি, ভয় পেলে চলবে না। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি নির্দেশ দিয়েছি, এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেই হবে।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর নদী অঞ্চল থেকে গত কয়েক বছর ধরেই অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করছে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানসহ একটি চক্র। ফলে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশ সম্পদসহ নদীর জীববৈচিত্র্য। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। সবশেষ বালু উত্তোলন বৈধ করতে সরকারি রয়্যালটি, ভ্যাট ও আয়কর বাবদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ১৩ কোটি টাকা ৭১ লাখ টাকা দেওয়ার আবেদন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান। (বাংলা ট্রিবিউন)