• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯ মার্চ, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ৯ মার্চ, ২০২২

জাটকা মাছ না ধরায় দেশে ইলিশ সহজলভ্য হয়েছে: অতি. আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

মনিরুল ইসলাম মনির: বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধকালীন সময়ে জাটকা, মা ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ না ধরার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেছেন, দেশ মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ হলে দেশের মানুষও তার সুফল পাবে। জাটকা মাছ না ধরার কারনে এখন দেশে ইলিশ সহজলভ্য হয়েছে। জনগণ সচেতন হলে জাটকা, মা ইলিশসহ সকল মাছই সহজলভ্য হবে এবং দেশীয় আমিষের চাহিদা পুরণের পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানীর করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।

নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের আয়োজনে বুধবার (০৯ মার্চ) সকাল ১০টা চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র মাঠে জাটকা সংরণ অভিযান-২০২২ উপলে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপুলিশের প্রধান বলেন, জাটকা রায় দুই মাসের অভয়াশ্রম চলছে। অভিযানে সমতা বাড়াতে নৌ পুলিশের প থেকে সব ধরণের লজিস্টিক সাপোর্ট নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সারা বছরই কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্ত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল উৎপাদন করে থাকে। নৌ পুলিশের অভিযানে শত শত কোটি টাকার জালও জব্দ করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আমরা স্থায়ীভাবে কারেন্ট জাল বন্ধ করার চেস্টা করছি। এখন থেকে নৌ পুলিশ নিজেদের সমতা নিয়ে নদীতে নামবে। যাতে করে দুষ্কৃতকারীদের আটক করতে পারে।

ইলিশের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে জাটকা ধরা, বেচা-কেনা এবং খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম।

তিনি বলেন, দেশে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে জাটকা সংরণের গুরুত্ব সম্পর্কে সর্বসাধারণ বিশেষ করে জেলে, মৎস্যজীবী সম্প্রদায় ও ইলিশের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ী, আড়তদার, বরফকল মালিক, বোট মালিক, দাদনদার এবং ভোক্তাসহ সবাইকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধকরণ। একইসঙ্গে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে বিষয়টিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দেয়া।

তিনি উপস্থিত সকলকে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধকালীন সময়ে মাছ না ধরার জন্য এবং জাটকা সংরন অভিযানসফল করার জন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, আইনের বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই বালু উত্তোলন বা বাল্কহেড চালানো যাবে না। আইনসঙ্গতভাবে যেটুকু বলা হয়েছে সে জায়গায় বালু উত্তোলন করবেন। অবৈধ বাল্কহেড জব্দ করবে নৌ পুলিশ।

নিষেধাজ্ঞাকালে জেলেদের সরকারি সহায়তা প্রদানের বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, ৪০ কেজি করে চাল জেলেদের কাছে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি । এছাড়া জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

আগের যে কোনো সময়ে চেয়ে এ বছর আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপ। চাঁদপুরের নৌ পুলিশে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, অন্যান্য বছর যেভাবে জাটকা সংরণ কার্যক্রম পালিত হয়েছে, এবার তার চেয়ে কঠোরভাবে পালিত হবে।

মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, নিষেধাজ্ঞাকালে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিপণন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। জাটকা রায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের মতলব উত্তর ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১ থেকে দুই বছরের সর্বোচ্চ কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় চাঁদপুরের নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম (পিপিএম ও বিপিএম-বার) ও নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী কায়সারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান, ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম সরকার, বাংলাদেশ জাহাজ ফেডারেশনের সভাপতি সবুজ সিকদার, দৈনিক ইত্তেফাক মতলব উত্তর প্রতিনিধি সাংবাদিক শামসুজ্জামান ডলার, জেলা নৌযান ফেডারেশন সভাপতি জাহাঙ্গীর সরদার, জেলা মৎসজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক দেওয়ান, উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ওমর আলী প্রধান।

পরবর্তীতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও জেলে সম্প্রদায়কে সাথে নিয়ে নৌ র‌্যালিতে অংশগ্রহন করেন এবং জনগনের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন এণ্ড অপারেশন) মো. মফিজুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম, নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (দক্ষিণ বিভাগ) মোল্লা মো. নজরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল, মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ একেএম কাউসার’সহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক ব্যাক্তিবর্গ ও মৎস্যজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • মতলব উত্তর এর আরও খবর
error: Content is protected !!