• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
সর্বশেষ আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

ছিন্নমূল চান মিয়ার পুনর্বান করলেন অঞ্জনা খান মজলিশ

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥

সড়ক দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাওয়া অসহায় ও ছিন্নমূল চান মিয়ার পুনর্বাসন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক। তার বর্তমান ঠিকানা চাঁদপুর সদরের শেখেরহাট সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় প্রশাসনের অর্থয়ানে একটি চা দোকান করে দিয়েছেন।

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শেখের হাট পুনর্বাসনের দোকানটি আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতাকেটে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী, (শিক্ষা ও আইসিটি) মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, (এডিএম) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সারোয়ার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজসহ অন্যান্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

চান মিয়া বলেন, তার পৈত্রিক বাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাখুয়া গ্রামে। নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সহায় সম্পত্তি সবকিছু হারিয়ে ছিন্নমূল হয়ে পড়েন। পেশায় রিকশা চালক ছিলেন। পরে সদরের মৈশাদী এলাকায় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ভ্যান চালকের কাজ নেন। এই রোজগার দিয়ে সংসার চলে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস একবার তার ভ্যানের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তার হাত পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে কাজ করতে না পেরে খুবই অসহায় হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, কোন ধরণের ভিক্ষাবৃত্তি না করে জেলা প্রশাসনের নিকট আমার অবস্থা তুলে ধরি। এরপর জেলা প্রশাসক মহোদায় আমার প্রতি সদয় হয়ে দোকান করে দিয়েছেন। আমি প্রশাসনের নিকট কৃতজ্ঞ।

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, অসহায় চান মিয়া গত ৩ মাস সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে বসে থাকত। তার একটাই দাবী ছিল আমি ভিক্ষা কিংবা করোর উপর নির্ভরশীল হতে চাই না। আমাকে একটি ছোট দোকান করে দেন। যাতে সেখানে দোকান করে বেঁচে থাকতে পারি। কারণ আমাকে দেখারমত কেউ নেই। এরপর আমরা তাকে বলেছি, তোমার ঘর না থাকলে ঘরে দেই। সে বলেছে আমার ঘর আছে দোকানই প্রয়োজন। তিন মাস অপেক্ষা করেছে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। এরপর একজন ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে তার অবস্থান দেখে জানালো খুবই করুন অবস্থা। এরপর আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার দোকান এবং মালামালও ক্রয় করে দিয়েছি। আজকে থেকে সে দোকান শুরু করতে পারবে এবং সে চলতে পারবে।

ডিসি আরো বলেন, আসলে সরকার যে উদ্যোগগুলো নিয়েছে অর্থাৎ বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন ভাল থাকে, কষ্টে না থাকে এবং না খেয়ে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সে নির্দেশনাগুলো আমরা বাস্তবায়ন করছি।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • চাঁদপুর সদর এর আরও খবর
error: Content is protected !!