জায়েদ নয়, নিপুণকেই শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা

  • আপডেট: ০৭:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৩৫

ফাইল ছবি জায়েদ ও নিপুণ

ভোট কেনাসহ নানা অভিযোগে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। আপিল বোর্ড নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছে।

শনিবার বিকাল পাঁচটায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশমতো দুই সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সভা আহ্বান করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এই সভায় আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এই ঘোষণা দেন।

গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, জায়েদ নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন, টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন। এসব অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন নিপুণ। লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও। এরপরই বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এজন্য শনিবার বিকালে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপুণ অংশ নিলেও জায়েদ ছিলেন অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান ঘোষণা করেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান থাকছেন না। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তার পরিবর্তে অপর প্রার্থী নিপুণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

এদিকে শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এফডিসি প্রাঙ্গণ দুপুর থেকে উত্তপ্ত ছিল। ভোটাধিকার হারানো ১৮০ জন শিল্পী সেখানে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে স্লোগানে উত্তাপ ছড়ান। সমস্বরে তারা ‘জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকারে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন নৃত্যশিল্পী বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে জায়েদ। ২০ বছর ধরে এফডিসিতে আছি। প্রায় ১০০টি সিনেমায় কাজ করেছি। আমার মতো শিল্পীকেও সে বঞ্চিত করেছে। আমি ওর বিচার চাই। ওকে আমি অভিশাপ দিচ্ছি।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খান ১৭৬ ভোট ও নিপুণ ১৬৩ ভোট পান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিপুনের ২৬ ভোট বাতিলের তথ্য জানানো হয়।

জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারের পর ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। তার আপিলের ভিত্তিতে ভোট পুনর্গণনাতেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে। এ নিয়ে গত রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন নিপুণ।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার নির্বাচন করেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে খাঁটি গরুর দুধ বিক্রর নামে প্রতারণা

জায়েদ নয়, নিপুণকেই শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা

আপডেট: ০৭:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ভোট কেনাসহ নানা অভিযোগে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। আপিল বোর্ড নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেছে।

শনিবার বিকাল পাঁচটায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশমতো দুই সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সভা আহ্বান করে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ড। এই সভায় আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এই ঘোষণা দেন।

গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ অভিযোগ তোলেন, জায়েদ নির্বাচনে দুর্নীতি করেছেন, টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন। এসব অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন নিপুণ। লিখিত অভিযোগ জানান নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছেও। এরপরই বোর্ডকে বিষয়টির সুরাহা করার দায়িত্ব দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এজন্য শনিবার বিকালে বৈঠক ডাকে আপিল বোর্ড। এতে নিপুণ অংশ নিলেও জায়েদ ছিলেন অনুপস্থিত। তার অনুপস্থিতিতেই সোহানুর রহমান সোহান ঘোষণা করেন, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান থাকছেন না। নির্বাচনে অনিয়ম করার অভিযোগে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তার পরিবর্তে অপর প্রার্থী নিপুণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

এদিকে শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এফডিসি প্রাঙ্গণ দুপুর থেকে উত্তপ্ত ছিল। ভোটাধিকার হারানো ১৮০ জন শিল্পী সেখানে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে স্লোগানে উত্তাপ ছড়ান। সমস্বরে তারা ‘জায়েদ খানের পদত্যাগ চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ চিৎকারে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন নৃত্যশিল্পী বলেন, আমাদের সঙ্গে অন্যায় করেছে জায়েদ। ২০ বছর ধরে এফডিসিতে আছি। প্রায় ১০০টি সিনেমায় কাজ করেছি। আমার মতো শিল্পীকেও সে বঞ্চিত করেছে। আমি ওর বিচার চাই। ওকে আমি অভিশাপ দিচ্ছি।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জায়েদ খান ১৭৬ ভোট ও নিপুণ ১৬৩ ভোট পান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নিপুনের ২৬ ভোট বাতিলের তথ্য জানানো হয়।

জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারের পর ফলাফলে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। তার আপিলের ভিত্তিতে ভোট পুনর্গণনাতেও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে। এ নিয়ে গত রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন নিপুণ।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে অভিনেতা মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলে সভাপতি পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার নির্বাচন করেন।