মেঘনায় আহরিত রেনু পোনা বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে

  • আপডেট: ০৪:১২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
  • ৩৭

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি।

চাঁদপুর মেঘনা নদীতে জেলেদের নিষিদ্ধ জালে আহরিত দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা ধরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে শহর ও গ্রামের অলিগলিতে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এক শ্রেণীর অসাধু জেলে এই রেনু পোনা ধরতে মেতে উঠে। মৎস্য বিভাগের বিশেষ কম্বিং অপারেশন চললেও রেনু পোনা ধরার সাথে জড়িতরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। এভাবে রেনু পোনা ধরা অব্যাহত থাকলে দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন হ্রাস হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দরা।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে শহরের পালবাজার এলাকায় কুমিল্লা সড়কে, শহরের ট্রাক রোডে, পালপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, মিশন রোডের মাথায়, হাজী মহসীন রোডে প্রকাশ্যে ভ্যান গাড়ী করে ভেলে পোনার নামে বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখাগেছে।

ট্রাক রোডে অনিক নামে এক রেনু পোনা বিক্রেতা জানান, শহরের পুরান বাজার রনাগেয়াল এলাকা থেকে তিনি এসব রেনু পোনা ভোর বেলায় ক্রয় করেছেন। সেখানেই শীত মৌসুমে এসব রেনু পোনা পাইকারী বিক্রি হয়। রনাগোয়াল থেকে বহু খুচরা বিক্রেতা শহর ও গ্রামে নিয়ে এসব পোনা বিক্রি করে।

খোঁজ নিয়ে ও নদী উপকূলীয় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রতিদিন অন্তত কয়েকশ’ জেলে বেহুন্দি জাল, মশারি জাল, সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা ধরার মহোৎসব চালাচ্ছে। প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিকেলে, গভীর রাতে ও ভোরে এসব রেনু পোনা ধরা হয়। এক-দেড় ইঞ্চি সাইজের বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা মাছ প্রতিকেজি ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দামের সহজলভ্যতায় ক্রেতারাও ব্যাগ ভরে এ মাছ কিনে নিচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক দেওয়ান জানান, চাঁদপুরের বাহির থেকে জেলেদের এনে পোনা মাছ নিধন করা হয়। বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা নিধন বন্ধ করতে হবে। আর যারা এসব অন্যায়ের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরি। তা নাহলে এমন এক সময় আসবে দেশী প্রজাতির কোন মাছ আর নদীতে পাওয়া যাবে না।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান এই বিষয়ে বলেন, ছোট প্রজাতির মাছ অর্থাৎ রেনু পোনা রক্ষায় প্রতিবছর এই সময় টাস্কফোর্সের কম্বিং অপারেশন করা হয়। অসাধু এই শ্রেণীকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। এসব জেলে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে খুব শীগগীরই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

মেঘনায় আহরিত রেনু পোনা বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে

আপডেট: ০৪:১২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

চাঁদপুর মেঘনা নদীতে জেলেদের নিষিদ্ধ জালে আহরিত দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা ধরে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে শহর ও গ্রামের অলিগলিতে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এক শ্রেণীর অসাধু জেলে এই রেনু পোনা ধরতে মেতে উঠে। মৎস্য বিভাগের বিশেষ কম্বিং অপারেশন চললেও রেনু পোনা ধরার সাথে জড়িতরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। এভাবে রেনু পোনা ধরা অব্যাহত থাকলে দেশীয় প্রজাতির মাছ উৎপাদন হ্রাস হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দরা।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে শহরের পালবাজার এলাকায় কুমিল্লা সড়কে, শহরের ট্রাক রোডে, পালপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, মিশন রোডের মাথায়, হাজী মহসীন রোডে প্রকাশ্যে ভ্যান গাড়ী করে ভেলে পোনার নামে বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখাগেছে।

ট্রাক রোডে অনিক নামে এক রেনু পোনা বিক্রেতা জানান, শহরের পুরান বাজার রনাগেয়াল এলাকা থেকে তিনি এসব রেনু পোনা ভোর বেলায় ক্রয় করেছেন। সেখানেই শীত মৌসুমে এসব রেনু পোনা পাইকারী বিক্রি হয়। রনাগোয়াল থেকে বহু খুচরা বিক্রেতা শহর ও গ্রামে নিয়ে এসব পোনা বিক্রি করে।

খোঁজ নিয়ে ও নদী উপকূলীয় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, পদ্মা-মেঘনা নদীতে প্রতিদিন অন্তত কয়েকশ’ জেলে বেহুন্দি জাল, মশারি জাল, সুক্ষ্ম ফাঁসের জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা ধরার মহোৎসব চালাচ্ছে। প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিকেলে, গভীর রাতে ও ভোরে এসব রেনু পোনা ধরা হয়। এক-দেড় ইঞ্চি সাইজের বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা মাছ প্রতিকেজি ১৫০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। দামের সহজলভ্যতায় ক্রেতারাও ব্যাগ ভরে এ মাছ কিনে নিচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক দেওয়ান জানান, চাঁদপুরের বাহির থেকে জেলেদের এনে পোনা মাছ নিধন করা হয়। বিভিন্ন প্রজাতির রেনু পোনা নিধন বন্ধ করতে হবে। আর যারা এসব অন্যায়ের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরি। তা নাহলে এমন এক সময় আসবে দেশী প্রজাতির কোন মাছ আর নদীতে পাওয়া যাবে না।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান এই বিষয়ে বলেন, ছোট প্রজাতির মাছ অর্থাৎ রেনু পোনা রক্ষায় প্রতিবছর এই সময় টাস্কফোর্সের কম্বিং অপারেশন করা হয়। অসাধু এই শ্রেণীকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। এসব জেলে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে খুব শীগগীরই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।