ছবি: সংগ্রহীত
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চলছে। আজ রবিবার সকাল থেকে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা। বরিশাল নৌ-ফায়ার স্টেশনের ডুবুরিদল সকাল ৯টায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লাশ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
নৌ-ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি লিডার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টায় আমরা ঝালকাঠিতে এসে পৌঁছেছি এবং ৯টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের ফায়ার সার্ভিসের মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে, যাতে কেউ কোনো স্থানে লাশের খবর পেলে আমাদের দ্রুত জানাতে পারে।’ এখন পর্যন্ত নতুন করে কোনো লাশের সন্ধান মেলেনি বলেও জানান হুমায়ুন কবির।
নিখোঁজদের স্বজনদের দাবি, কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ নদীতে লাফিয়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে সুগন্ধার তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা। কেউ আবার ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনকে। কারো হাতে নিখোঁজ স্বজনদের ছবি। তা নিয়ে নদী তীরের বাসিন্দাদের দেখাচ্ছেন আর বিলাপ করছেন।
উল্লেখ্য, ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, নিখোঁজ শতাধিক। আর আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল আট শ থেকে এক হাজার।