অনলাইন ডেস্ক.
বিভিন্ন নদ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১০ জেলা বন্যাকবলিত, আরও কয়েকটি জেলাতেও বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
আজ শুক্রবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সিলেট, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, শেরপুরসহ ১০ জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এই ১০ জেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জরুরিভাবে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। সুষ্ঠুভাবে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্বে ত্রাণ বিতরণ হবে। মাঠ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা সহযোগিতা করবেন। ওই সব জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এনামুর রহমান বলেন, আমাদের পক্ষে বন্যা মোকাবিলা আদৌ সম্ভব নয়। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে বন্যা ও আপৎকালীন বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগ ও কষ্ট লাঘবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু সহযোগিতা করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও এটিই।
তিনি বলেন, এর আগে আমরা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’ যখন আঘাত হেনেছিল, ওই সময়ও আমরা একই কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।
এর আগে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বন্যা মোকাবিলায় তাদের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।