চাঁদপুর লঞ্চঘাটে চালকদের দ্বারা নিগৃহীত যাত্রীরা

  • আপডেট: ১১:১৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩৯

শরীফুল ইসলাম:

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। কোন ভাবে যেন চালকদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দৌরাত্ম্য এখন অনেকটা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যদিও কিছুদিন পর পর বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ থানা অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তারপর আগের মতই বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয় চাঁদপুর লঞ্চঘাট।

চাঁদপুর লঞ্চঘাট দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে। ঢাকা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চল নৌরূটে প্রতিদিন চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে অর্ধ শতাধিক লঞ্চ আসা-যাওয়া করে থাকে। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চাঁদপুর লঞ্চঘাট হয়ে যাতায়াত করে থাকে। লঞ্চ যাত্রীরা এই ঘাটে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের দ্বারা চরমভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, চালকরা একেবারে ঘাটের পল্টনের ভিতরে প্রবেশ করে যাত্রীদের টানাহেচড়া করছে। চালকদের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ করেও কোন সমাধান হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকা থেকে আসা আব এ জমজম লঞ্চের যাত্রী রাশেদুল হাসান ও জাহিদ বলেন, লঞ্চ থেকে ঘাটে নামার সাথে সাথে যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে চালকরা টানাটানি করছে। প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সাথে চালকদের ঝগড়া, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটছে। কতৃপক্ষ এই নৈরাজ্যের কোন সমাধান করছে না। চাঁদপুর লঞ্চঘাটটি যেন শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি।

চাঁদপুর লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, আমরা বহুবার বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশকে যাত্রী হয়রানির বিষয়ে অবহিত করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। দিন দিন সিএনজি অটোরিকশার চালকদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী সেবার নামে কিছুই নেই। দ্রুত সেবার মান বৃদ্ধি করতে কর্তৃপক্ষ নজর দিতে হবে।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক মো. শাহআলম বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাটের শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে আমরা নৌ থানাকে অবহিত করেছি। ঘাটের ভিতরে যাতে কোন চালক কিংবা কুলি যাত্রীদের হয়রানি না করতে পারে, তার জন্য নৌ পুলিশের দায়িত্ব পালন করার কথা।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, লঞ্চঘাটের ভিতরে চালকের হয়রানি নিয়ে আমরাও বিব্রত। বহুবার চালকদের ধরে এনে বুজিয়ে সুজিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারপরও তারা একই কাজ করে যাচ্ছে। ঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশের সদস্যরা নিয়জিত থাকে। তারপরও কিছু চালক ঘাটের অন্যপাশ দিয়ে ভিতরে চলে যায়। তারা এসব হয়রানি বন্ধ না করলে আমারা আরো কঠোর হতে বাধ্য হব।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

দেশে HMPV ভাইরাসে আক্রান্ত নারীর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে চালকদের দ্বারা নিগৃহীত যাত্রীরা

আপডেট: ১১:১৮:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

শরীফুল ইসলাম:

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। কোন ভাবে যেন চালকদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দৌরাত্ম্য এখন অনেকটা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। যদিও কিছুদিন পর পর বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ থানা অভিযান পরিচালনা করে থাকে। তারপর আগের মতই বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয় চাঁদপুর লঞ্চঘাট।

চাঁদপুর লঞ্চঘাট দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই হাজার হাজার মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে। ঢাকা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চল নৌরূটে প্রতিদিন চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে অর্ধ শতাধিক লঞ্চ আসা-যাওয়া করে থাকে। তাই প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চাঁদপুর লঞ্চঘাট হয়ে যাতায়াত করে থাকে। লঞ্চ যাত্রীরা এই ঘাটে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের দ্বারা চরমভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, চালকরা একেবারে ঘাটের পল্টনের ভিতরে প্রবেশ করে যাত্রীদের টানাহেচড়া করছে। চালকদের বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ করেও কোন সমাধান হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ঢাকা থেকে আসা আব এ জমজম লঞ্চের যাত্রী রাশেদুল হাসান ও জাহিদ বলেন, লঞ্চ থেকে ঘাটে নামার সাথে সাথে যাত্রীদের ব্যাগ নিয়ে চালকরা টানাটানি করছে। প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সাথে চালকদের ঝগড়া, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটছে। কতৃপক্ষ এই নৈরাজ্যের কোন সমাধান করছে না। চাঁদপুর লঞ্চঘাটটি যেন শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি।

চাঁদপুর লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, আমরা বহুবার বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পুলিশকে যাত্রী হয়রানির বিষয়ে অবহিত করেছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। দিন দিন সিএনজি অটোরিকশার চালকদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী সেবার নামে কিছুই নেই। দ্রুত সেবার মান বৃদ্ধি করতে কর্তৃপক্ষ নজর দিতে হবে।

চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক মো. শাহআলম বলেন, চাঁদপুর লঞ্চঘাটের শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে আমরা নৌ থানাকে অবহিত করেছি। ঘাটের ভিতরে যাতে কোন চালক কিংবা কুলি যাত্রীদের হয়রানি না করতে পারে, তার জন্য নৌ পুলিশের দায়িত্ব পালন করার কথা।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, লঞ্চঘাটের ভিতরে চালকের হয়রানি নিয়ে আমরাও বিব্রত। বহুবার চালকদের ধরে এনে বুজিয়ে সুজিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারপরও তারা একই কাজ করে যাচ্ছে। ঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধ করতে পুলিশের সদস্যরা নিয়জিত থাকে। তারপরও কিছু চালক ঘাটের অন্যপাশ দিয়ে ভিতরে চলে যায়। তারা এসব হয়রানি বন্ধ না করলে আমারা আরো কঠোর হতে বাধ্য হব।