বুদ্ধিজীবী হতে হলে স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলতে হবে: মন্ত্রী

  • আপডেট: ১১:৪১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৩০

ফাইল ছবি

‘প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর: আমাদের যত অর্জন ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ ডিসেস্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এসময় তিনি বলেন , ‘পণ্ডিত হলেই কেউ বুদ্ধিজীবী হবে না, বুদ্ধিজীবী হতে হলে স্বাধীনতার সপক্ষে কথা বলতে হবে’। আমরা দায় মুক্ত হতে চাই। বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ না করতে পারলে দায় মুক্ত হতে পারবো না। আমরা বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে চাই। আপনাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের দিয়ে সহায়তা করুন। ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এখনো চলছে। গত ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদি এলে ধর্মের নামে হেফাজত ইসলাম যা করেছে- তা আপনারা দেখেছেন।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা যারা দেশ জয় করেছি, তারা জয়ের আনন্দে সব ভুলে গিয়েছি। অথচ পাকিস্তানের দোসররা পরাজয়ের গ্লানি ভুলে যায়নি। তারা এখনো এ দেশেই আছেন। আল বদর, আল শামস- এরা এখনো আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এদের তালিকা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তালিকা না করতে পারায় এরা আমাদের মাঝে মিশে গেছে।’ আমাদের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের চরিত্র তুলে ধরতে না পারায় এমনটি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান বাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করেছে- এমন প্রশ্নে ৯০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উত্তর দিতে পারেনি।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, লেখক ও ব্লগার মারুফ রসূল, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

গুপ্টিতে আদালতের আদেশ অমান্য করে চলাচলের রাস্তায় ওয়াল নির্মাণ করায় ফরিদগঞ্জ থানা রিসিভার গ্রহণ করে

বুদ্ধিজীবী হতে হলে স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলতে হবে: মন্ত্রী

আপডেট: ১১:৪১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২১

ফাইল ছবি

‘প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর: আমাদের যত অর্জন ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৭ ডিসেস্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এসময় তিনি বলেন , ‘পণ্ডিত হলেই কেউ বুদ্ধিজীবী হবে না, বুদ্ধিজীবী হতে হলে স্বাধীনতার সপক্ষে কথা বলতে হবে’। আমরা দায় মুক্ত হতে চাই। বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ না করতে পারলে দায় মুক্ত হতে পারবো না। আমরা বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে চাই। আপনাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের দিয়ে সহায়তা করুন। ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এখনো চলছে। গত ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদি এলে ধর্মের নামে হেফাজত ইসলাম যা করেছে- তা আপনারা দেখেছেন।’

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা যারা দেশ জয় করেছি, তারা জয়ের আনন্দে সব ভুলে গিয়েছি। অথচ পাকিস্তানের দোসররা পরাজয়ের গ্লানি ভুলে যায়নি। তারা এখনো এ দেশেই আছেন। আল বদর, আল শামস- এরা এখনো আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এদের তালিকা করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তালিকা না করতে পারায় এরা আমাদের মাঝে মিশে গেছে।’ আমাদের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের চরিত্র তুলে ধরতে না পারায় এমনটি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান বাহিনী কবে আত্মসমর্পণ করেছে- এমন প্রশ্নে ৯০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উত্তর দিতে পারেনি।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, লেখক ও ব্লগার মারুফ রসূল, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।