মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান : ৯ সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে এফবিসিসিআই

  • আপডেট: ১২:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • ২৯

মুক্তিযুদ্ধকালীন ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখায় ৯ সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এফবিসিসিআইয়ের ১৬ দিনব্যাপী ‘বিজয়ের ৫০ বছর : লাল সবুজের মহোৎসব’ এর ১৪তম দিনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সম্মাননা পাওয়া সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছে সনদ ও ট্রফি তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের ছায়ানটের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম (শাকিল)। বাংলাদেশ উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আলম তপন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গোলাম মোহাম্মদ ইদু, খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামাল চৌধুরী ও শমী কায়সার, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব কামাল বায়েজীদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নাসির উদ্দিন ইউসুফ, কচি-কাঁচার মেলার সহ-সভাপতি আল্পনা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুঈদ চৌধুরী ওয়ালিদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা জাকের ও প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময়, সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস সম্মাননা গ্রহণ করেন।

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নতির স্বপ্ন দেখে সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যখন যখন বুঝলেন বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতিতে স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই, তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ধ্বংসস্তূপ বাঙালি জাতি আজ খাদ্যে পরিপূর্ণ, রাস্তাঘাট উন্নত। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৭১ এর এই দিনে আমরা শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করা হয় এই দিনে। ঘাতকরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে হত্যা করতে; কিন্তু তারা জানে না ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়, ব্যক্তির আদর্শকে না। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তিনি সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই দিনে। কিন্তু তাদের পরিকল্পিত চক্রান্ত সফল হয়নি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।

সংগঠনগুলোকে এই সম্মাননা দিতে পেরে গর্বিত বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজ এই পর্যায়ে আসার পেছনে সংগঠনগুলোর অবদান অনেক।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই দিনে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেইসব মানুষেরা যাদের জন্য আজকের এই লাল সবুজ পতাকা।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর

মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান : ৯ সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে এফবিসিসিআই

আপডেট: ১২:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

মুক্তিযুদ্ধকালীন ও স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখায় ৯ সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এফবিসিসিআইয়ের ১৬ দিনব্যাপী ‘বিজয়ের ৫০ বছর : লাল সবুজের মহোৎসব’ এর ১৪তম দিনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সম্মাননা পাওয়া সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাছে সনদ ও ট্রফি তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানের ছায়ানটের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম (শাকিল)। বাংলাদেশ উদীচি শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আলম তপন ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গোলাম মোহাম্মদ ইদু, খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামাল চৌধুরী ও শমী কায়সার, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব কামাল বায়েজীদ, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের নাসির উদ্দিন ইউসুফ, কচি-কাঁচার মেলার সহ-সভাপতি আল্পনা চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুঈদ চৌধুরী ওয়ালিদ, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা জাকের ও প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি আসিফ মুনীর তন্ময়, সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দিন আব্বাস সম্মাননা গ্রহণ করেন।

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নতির স্বপ্ন দেখে সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি যখন যখন বুঝলেন বাঙালি জাতির ভাগ্যের উন্নতিতে স্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই, তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ধ্বংসস্তূপ বাঙালি জাতি আজ খাদ্যে পরিপূর্ণ, রাস্তাঘাট উন্নত। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৭১ এর এই দিনে আমরা শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি। জাতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করা হয় এই দিনে। ঘাতকরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে হত্যা করতে; কিন্তু তারা জানে না ব্যক্তিকে হত্যা করা যায়, ব্যক্তির আদর্শকে না। বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তিনি সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই দিনে। কিন্তু তাদের পরিকল্পিত চক্রান্ত সফল হয়নি বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।

সংগঠনগুলোকে এই সম্মাননা দিতে পেরে গর্বিত বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজ এই পর্যায়ে আসার পেছনে সংগঠনগুলোর অবদান অনেক।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই দিনে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে সেইসব মানুষেরা যাদের জন্য আজকের এই লাল সবুজ পতাকা।