• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ আপডেট : ১১ ডিসেম্বর, ২০২১

ইউপি নির্বাচনে হাজীগঞ্জে স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচনী মাঠে আ’লীগ-বিএনপির ১৯ প্রার্থী

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ১১টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র পরিচয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী মাঠে প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বাংলাদেশ আওয়াম লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ১৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের পদধারী ও সমর্থকসহ মোট ৮ জন বিদ্রোহী এবং বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের পদধারী ও সমর্থকসহ ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন।

গত ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন এমন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সমর্থক এবং বিএনপি, জামায়াত ও জাকের পার্টিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১১টি ইউনিয়নে ২৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে ৪৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। যারা সবাই ৭ ডিসেম্বর প্রতীক নিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র পরিচয়ে আওয়ামী লীগের ৮ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এবং বিএনপির ১১ জন প্রতিদ্ব›দ্ধীতা করছেন।

জানা গেছে, দলীয় সিদ্ধান্ত উপো ও বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে মতাসীন আওয়ামী লীগ ২০১৬ সালে দলীয় গঠণতন্ত্র সংশোধন করে দলের প্রতীকের বিরুদ্ধ নির্বাচন করা দলীয় নেতাদের সরাসরি বহিষ্কারের ধারা অন্তর্ভুক্ত করে। এরপর থেকে এই ধারা অনুযায়ী বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিস্কার শুরু হয়। তারপরেও বিদ্রোহী প্রার্থী দমন করতে পারেনি আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছে একাধিক দলীয় প্রার্থী হেরে গেছেন।

অপর দিকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা না থাকার অভিযোগে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু স্থানীয় সরকারের নির্বাচন নিয়ে দেখা গেছে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে স্বতন্ত্র পরিচয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। সারা দেশের ন্যায় এর ব্যতিক্রম হাজীগঞ্জেও দেখা যায়নি। বিভিন্ন ইউনিয়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এই নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করছেন।

হাজীগঞ্জে নির্বাচনী প্রতিদ্ব›িদ্ধতায় স্বতন্ত্র হিসাবে আওয়ামী লীগের পদধারী ও সমর্থক প্রার্থীদের মধ্যে রাজারগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থক আনারস প্রতীকে মো. রফিক পাটওয়ারী, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থক আনারস প্রতীকে মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ফরাজী, হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন যুবলীগের (পূর্ব) সাধারণ সম্পাদক আনারস প্রতীকে ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনারস প্রতীকে মজিবুর রহমান মজিব নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান চশমা প্রতীকে সোহরাব হোসেন মিয়াজী, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকে রফিকুল ইসলাম মেলেটারী এবং একই ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চশমা প্রতীকে মো. ইউনুছ মিয়া, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থক ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোটরসাইকেল প্রতীকে মোহাম্মদ আলী (এম আলী মুজিব) নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

অপর দিকে বিএনপির পদধারী ও সমর্থক প্রার্থীদের মধ্যে রাজারগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির সহ-সভাপতি চশমা প্রতীকে মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাকিলা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক ঘোড়া প্রতীকে মো. জুলহাস মিয়া, একই ইউনিয়নে উপজেলা যুবলদলের যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকে মিজানুর রহমান মিলন, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির সদস্য আনারস প্রতীকে নুরুল আমিন হেলাল, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনারস প্রতীকে মোশারফ হোসেন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে উপজেলা যুবদলের সদস্য ঘোড়া প্রতীকে নেছার আহমেদ, গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনারস প্রতীকে মো. নাছির উদ্দিন, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ঘোড়া প্রতীকে ইমাম হোসেন লিটন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী জানান, দলীয় প্রতীক চেয়ে যারা মনোনয়ন পায়নি, এদের মধ্যে যারা ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্ধীতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আগামি দুই/এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. এ রহিম পাটওয়ারী জানান, কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই আমরা দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেইনি। এখন আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, সেটা তার বা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • রাজনীতি এর আরও খবর
error: Content is protected !!