• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর, ২০২১
সর্বশেষ আপডেট : ৪ ডিসেম্বর, ২০২১

বস্ত্র খাত অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে ভূমিকা রাখছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
[sharethis-inline-buttons]

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। বস্ত্র খাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে ভূমিকা রেখে চলছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১’ উপলক্ষে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। এবারের প্রতিপাদ্য ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন-বাংলাদেশের উন্নয়ন’ প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী বলেও মনে করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে বস্ত্রশিল্প খাতকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম করে তোলার অঙ্গীকার করা হয়েছে। বস্ত্র কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ বস্ত্রশিল্পকে সহায়তার মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রফতানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নিরাপদ, টেকসই, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম বস্ত্র খাত গড়ে তুলতে ‘বস্ত্র নীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্রশিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।’’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বস্ত্রশিল্পকে সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদফতরকে পোষক কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি মোকাবিলায় আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর বস্ত্রশিল্প গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বস্ত্র অধিদফতর এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করে চলছে। আমাদের সরকার পোশাকশিল্পের রফতানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।’

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁত শিল্পের উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সাল থেকেই তাঁত শিল্পের মান উন্নয়নের পাশাপাশি বস্ত্র খাতকে সমৃদ্ধ করার নানামুখী প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেযোগ্য অবদান রাখছে। দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮২ ভাগ অর্জিত হয় বস্ত্র খাত থেকে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রযাত্রায় বস্ত্র খাত সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রেখে এ খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। তিনি ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২১’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর: বাসস

Sharing is caring!

[sharethis-inline-buttons]

আরও পড়ুন

  • জাতীয় এর আরও খবর
error: Content is protected !!