অনলাইন ডেস্ক:
কারখানার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চায়না রোড এলাকায় এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
বুধবার রাতে ওই কিশোরীকে (১৮) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাকে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কর্ণফুলী থানার কোরিয়ান ইপিজেডের কেএসআই ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন ওই কিশোরী। তার বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলায়। তিনি প্রতিদিন বাড়ি থেকেই কারখানায় আসা-যাওয়া করেন।
কিশোরীর বরাত দিয়ে আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, “কারখানা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরতে আনোয়ারা চাতরি চৌমুহনী এলাকায় আসেন ওই কিশোরী। সেখান থেকে একটি অটোরিকশায় ওঠেন, সেখানে চালক ছাড়া আরও দু’জন ছিল। এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক এবং অটোরিকশায় যাত্রী বেশে থাকা দু’জন জড়িত আমাদের ধারণা।”
তিনি আরও বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণের পর ওই সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। আমাদের ধারণা তারা কালারমার দিঘীর নির্জন রোডটিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রাতেই আনোয়ারা এবং কর্ণফুলী দুই থানাকে এ বিষয়ে জানানো হয়।
খবর পেয়ে চমেক হাসপাতালে যাওয়া কর্ণফুলী থানার ওসি আলমগীর মাহমুদ বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক মো. আমির আমাকে খবর দেয়। গিয়ে দেখি মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণে মুর্মূষু অবস্থা, রাতেই তাকে দুই ব্যাগ রক্ত জোগাড় করে দেওয়া হয়। আজ দুপুর পর্যন্ত ওই তরুণীকে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে।