আজ লোকগীতি সংগ্রাহক আশুতোষ চৌধুরীর জন্মদিন

  • আপডেট: ১২:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১
  • ২৯

আশুতোষ চৌধুরী লোকগীতি সংগ্রাহক ও কবি। ১৮৮৮ সালের ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কবুরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা কৈলাসচন্দ্র চৌধুরী ছিলেন স্কুল শিক্ষক। আশুতোষ চট্টগ্রাম থেকে এন্ট্রান্স পাস করে জেলা আদালতে মোক্তারি পেশায় যোগদান করেছিলেন। পরে শিক্ষকতা পেশা গ্রহণ করে বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করেন। সে সময় তার রচিত ‘ছেলেদের চট্টলভূমি’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ পড়ে রায়বাহাদুর দীনেশচন্দ্র সেন মুগ্ধ হন। তারই আগ্রহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২৫ সালে আশুতোষ চৌধুরীকে লোকগীতি সংগ্রাহক নিযুক্ত করে।

আশুতোষ চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে বহু বিচিত্র ও মর্মস্পর্শী পালাগান সংগ্রহ করেন। তার সংগৃহীত পালাগানগুলোর মধ্যে আছে- ‘নিজাম ডাকাতের পালা’, ‘কাফন চোরা’, ‘ভেলুয়া’, ‘হাতী খেদার গান’, ‘কমল সদাগরের পালা’, ‘সুজা তনয়ার বিলাপ’, ‘নছর মালুম’, ‘নুরুন্নেহা ও কবরের কথা’, ‘পরীবানুর হাঁইলা’, ‘দেওয়ান মনুহর ও মজুনা’ ইত্যাদি।

এসব পালাগান দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত পূর্ববঙ্গ-গীতিকায় সংকলিত হয়েছে। স্বভাবকবি ও গীতিকার হিসেবেও আশুতোষের খ্যাতি ছিল। ‘গীতিকা’ নামে তার একটি গানের সংকলন আছে। ‘আদম আশক’ (কাহিনীকাব্য), ‘ব্যথার বাণী’ ও ‘স্বপ্নের জয়’ (গাথাকাব্য) তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম। তিনি ‘চট্টগ্রামী ভাষা ও সংস্কৃতি’ নামে একটি অভিধানও প্রণয়ন করেন। ওহীদুল আলমের সঙ্গে যুগ্মভাবে তিনি কিছুদিন ‘পূরবী’ (১৯৩৬) নামে একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। আশুতোষ চৌধুরী ১৯৪৪ সালের ২৭ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।

Tag :

সম্পাদক ও প্রকাশক:
মোঃ মহিউদ্দিন আল আজাদ

মোবাইল : ০১৭১৭-৯৯২০০৯ (নিউজ) বিজ্ঞাপন : ০১৬৭০-৯০৭৩৬৮
ইমেইলঃ notunerkotha@gmail.com

সমন্বয়ক আর জামায়াতের কারণে ইউনুছ সরকার ব্যর্থ হবে-ইঞ্জি. মমিনুল হক

আজ লোকগীতি সংগ্রাহক আশুতোষ চৌধুরীর জন্মদিন

আপডেট: ১২:৫৬:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ নভেম্বর ২০২১

আশুতোষ চৌধুরী লোকগীতি সংগ্রাহক ও কবি। ১৮৮৮ সালের ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কবুরখীল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা কৈলাসচন্দ্র চৌধুরী ছিলেন স্কুল শিক্ষক। আশুতোষ চট্টগ্রাম থেকে এন্ট্রান্স পাস করে জেলা আদালতে মোক্তারি পেশায় যোগদান করেছিলেন। পরে শিক্ষকতা পেশা গ্রহণ করে বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করেন। সে সময় তার রচিত ‘ছেলেদের চট্টলভূমি’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ পড়ে রায়বাহাদুর দীনেশচন্দ্র সেন মুগ্ধ হন। তারই আগ্রহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২৫ সালে আশুতোষ চৌধুরীকে লোকগীতি সংগ্রাহক নিযুক্ত করে।

আশুতোষ চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে বহু বিচিত্র ও মর্মস্পর্শী পালাগান সংগ্রহ করেন। তার সংগৃহীত পালাগানগুলোর মধ্যে আছে- ‘নিজাম ডাকাতের পালা’, ‘কাফন চোরা’, ‘ভেলুয়া’, ‘হাতী খেদার গান’, ‘কমল সদাগরের পালা’, ‘সুজা তনয়ার বিলাপ’, ‘নছর মালুম’, ‘নুরুন্নেহা ও কবরের কথা’, ‘পরীবানুর হাঁইলা’, ‘দেওয়ান মনুহর ও মজুনা’ ইত্যাদি।

এসব পালাগান দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত পূর্ববঙ্গ-গীতিকায় সংকলিত হয়েছে। স্বভাবকবি ও গীতিকার হিসেবেও আশুতোষের খ্যাতি ছিল। ‘গীতিকা’ নামে তার একটি গানের সংকলন আছে। ‘আদম আশক’ (কাহিনীকাব্য), ‘ব্যথার বাণী’ ও ‘স্বপ্নের জয়’ (গাথাকাব্য) তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম। তিনি ‘চট্টগ্রামী ভাষা ও সংস্কৃতি’ নামে একটি অভিধানও প্রণয়ন করেন। ওহীদুল আলমের সঙ্গে যুগ্মভাবে তিনি কিছুদিন ‘পূরবী’ (১৯৩৬) নামে একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। আশুতোষ চৌধুরী ১৯৪৪ সালের ২৭ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।