রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবদা বাজার চৌরাস্তা এলাকায় (নবোদয় হাউজিংয়ের পাশে) শুক্রবার সকালে আয়েশা সিদ্দিকা নামের যে পোশাককর্মী হামলার শিকার হয়েছিলেন, শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন তিনি। এ ঘটনায় সেকুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
ঘটনাস্থলে ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয় পথচারীরা। প্রথমে এটিকে সাধারণ ছিনতাইয়ের ঘটনা মনে করা হলেও সেকুলকে জিজ্ঞাসাবাদে ভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, আক্রোশের বশে স্ত্রীকে খুন করার উদ্দেশ্যে ‘ভুলবশত’ ওই নারীকে ছুরিকাঘাত করে সেকুল। পরে সে বোরকা খুলে দেখতে পায় ওই নারী তার স্ত্রী নন।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম আজাদ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, গত এক মাস আগে তার স্ত্রী বাসা থেকে পালিয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় তাদের মোবাইল ফোনে কথা হয়। সে দাবি করেছে, তার স্ত্রী ফিরে আসার জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেছেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে খুন করার মনস্থির করে সে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাদের কথামতো শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে যায়। সে জন্য মোহাম্মদপুর নবদা বাজার চৌরাস্তা এলাকায় অপেক্ষা করতে থাকে সেকুল। ঠিক সে সময়ই একই রকম বোরকা পরা দুই নারী রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিজের স্ত্রী ভেবে আয়েশা আক্তার নামে এক গার্মেন্টস কর্মীকে ছুরিকাঘাত করে সে। পরবর্তী সময়ে ছিনতাইকারী ভেবে তাকে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা।
নিহত আয়েশা দিনাজপুরের ভবানীপুরের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। একই এলাকার বাসিন্দা স্বামী ইলেকট্রিক মিস্ত্রি রুবেল ইসলাম। ৫ বছর বয়সী এক কন্যাশিশুও রয়েছে তার। স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন নবোদয় হাউজিং এলাকায়। ঢাকা উদ্যান পার্ক এলাকার একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন তিনি।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।