সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ। উইন্ডিজের দেওয়া ১৪৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রানে শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। ফলে ৩ রানের জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৪৩ রানের জবাব দিতে নেমে ওপেনিংয়ে চমক দেয় বাংলাদেশ। নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি তার। ব্যক্তিগত ৯ রানে আন্দ্রে রাসেলের বলে হোল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সাকিব।লিটনের বাজে ফর্মের কারণে এই ম্যাচে ইনিংস শুরু করেন তিনি।
এর আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয় শিবিরে শুরুতে আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। এভিন লুইসকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করেন কাটার মাস্টার। এরপর ক্রিস গেইলকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান মেহেদী হাসান। ব্যক্তিগত ৪ রানে মেহেদীর শিকার হন গেইল। মেহেদী শিমরন হ্যাটমায়ারকেও সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান। ফেরার আগে শিমরন করেন মাত্র ৯ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে ক্যারিবীয় শিবিরকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। ১৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬৪ রান তুলে উইন্ডিজ। কেইরন পোলার্ড রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গেলে আন্দ্রে রাসেলকে রান আউট করেন তাসকিন আহমেদ। পোলার্ড ৮ ও রাসেল শূন্য রানে ফিরে যান সাজঘরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেই চাপ সামলে উঠে নিকোলাস পুরান ও রোস্টন চেজের ব্যাটে ভর করে। দু’জন মিলে গড়ে তুলেন ৫৭ রানের জুটি। এ সময় শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন হার্ডহিটার ব্যাটার নিকোলাস পুরান। পরের বলে শরিফুল ফিরিয়ে দেন রোস্টন চেজকেও। চেজকে সরাসরি বোল্ড করেন বাংলাদেশ তরুণ পেসার। ফেরার আগে নিকোলাস ২২ বলে এক চার ও ৪ ছয়ে করেন ৪০ রান। চেজ করেন ৩৯ রান। শেষ দিকে জেসন হোল্ডারের ১৫ রানে ভর করে ১৪২ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় দুই উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। দুটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৪২/৭ (২০ ওভার) (চেজ ৩৯, পোলার্ড ১৪*, পুরান ৪০, হোল্ডার ১৫*; মেহেদী ২/২৭, শরিফুল ২/২০)
বাংলাদেশ- ১৩৯/৫ (২০ ওভার) (লিটন ৩২*, মুশফিক ৮, সৌম্য ১৭, নাইম ১৭, সাকিব ৯, মাহমুদউল্লাহ ৩১*, আফিফ ২*; হোল্ডার ১/২২, আকিল ১/২৪)