নিজস্ব প্রতিনিধি॥
চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা- মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞার মধেও অবাধে মা ইলিশ শিকার চলছে। মা’ইলিশ নিধন করা থেকে জেলেরা থেমে নেই তারা দেদারছে মা’ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে,নিরবিচারে।
বর্তমান এ প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও চাঁদপুরের পদ্মা- মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় চলছে মা ইলিশ শিকার। প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে এবং দিনের বেলায় প্রকাশ্যে নদীতে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল ফেলে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছে,সরকারের কাছ থেকে সুবিধা ভোগকারী অসাধু জেলেরা । তারা প্রশাসনের হাতে আটকা পড়লে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়ে পুনরায় আবার মা’ইলিশ ও জাটকা শিারে মেতে উঠে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলার নৌ-সীমানার হাইমচর উপজেলার কাটাখালি লঞ্চঘাট এলাকায় জেলেদের মাছ শিকারের এমন চিত্র ধারণ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও সদর উপজেলার রনাগোয়াল থেকে শুরু করে আখনের হাট পর্যন্ত গোপনে ইলিশ শিকার ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, এক কেজির কম ওজনের ইলিশের হালি ১৫-১৬শ’ টাকা। ১ কেজির বেশী ওজনের ইলিশের হালি ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা।
মেঘনায় টাস্কফোর্সের অভিযান থাকলেও বিশাল এই নদী এলাকায় এক শ্রেনীর অসাধু জেলে মা ইলিশ নিধন ও আহরণ বন্ধ করেনি। তারা সুযোগ পেলেই মা’ ইলিশ শিকারে মেতে উঠে ইলিশ শিকার করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় চাঁদপুরের অসাধু কিছু জেলের সাথে জেলার বাহির থেকে এসে অনেক জেলে ইলিশ শিকারের কাজে যোগ দেয়। এরপর তারা যৌথভাবে মা ইলিশ হত্যাযজ্ঞ চালায় নিরবিচারে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, ৪ অক্টোবর থেকে আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের ১৬১টি অভিযানে ১৫২জন জেলে আটক হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে ৫১টি। জাল জব্দ হয়েছে ৯০.৫৭৯ মিটার। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৬৫টি।
প্রবীণ মৎস্য ব্যাবসায়ীরা জানান, প্রশাসনের এত সব অভিযানের পরও মা’ইলিশ নিধন ও শিকার বন্ধ করছেনা অসাধূ জেলেরা। এ জন্য প্রতিটি মৎস্য নিধন এলাকায় ও জেলে পাড়ায় ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে তা’হলে মা’ইলিশ ও জাটকা মৌসুমে নিধন বন্ধ করা সহজ হবে।