নিজস্ব প্রতিনিধি:
চাঁদপুর জেলা বিভিন্ন কারণে করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এর কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম হলো চাঁদপুর নৌ বন্দর, রেল ও বাস যোগাযোগ অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে চাঁদপুরের নৌ বন্দর। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকেও এ জেলাকে রেড জোনের আওতায় রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে ঢিলেঢালা লকডাউন পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করতে দাবি উঠেছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চাঁদপুর পৌরবাসী বেশ কিছু দিন ধরে তাদের দাবি উত্থাপন করে আসছে। অনেকেই চাইছেন, শহরে কারফিউ জারি হোক কিংবা কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হোক।
এ বিষয়ে আজ রোববার চাঁদপুর জেলা করোনা বিষয়ক প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল মূলতবী সভায় কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
শনিবার অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় রেড জোন কার্যকরের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। তবে এই মুহূর্তে কারফিউ জারির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে আভাস মিলেছে। সূত্র আরো জানায়, কঠোর লকডাউন অথবা রেড জোন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজ।
এ ছাড়াও সভায় স্বাস্থ্যবিধির উপর ব্যাপকগুরত্বরোপ করা হয়।
জেলায় ইতিমধ্যে হাজীগঞ্জ বাজার ১০ দিন, বলাখাল বাজার ১০ দিন, বাকিলা বাজার ১০ দিন, বাবুরহাট বাজার ১২ দিন ও মতলব বাজার ১০ দিনের লকডাউন ছিল। বাবুরহাট বাজারের লকডাউন চলমান আছে।
চাঁদপুর জেলায় করোনা সংক্রমণের পর থেকে শনিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৩জন।