পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের কঠোর হবে: কাদের

  • আপডেট: ০৪:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০
  • ২৮

অনলাইন ডেস্ক:

অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিবহন মালিকদের স্বাস্থ্য বিধি এবং শর্ত মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিলেন্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা, বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার বিষয়গুলোর ভালোভাবে তদারকির আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করছি আপনারা অতিরিক্ত যাত্রী হবেন না। অর্ধেক আসন খালি রাখুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট কাটুন। নিজে সংক্রমণ থেকে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান।

সেতুমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেন,হুড়োহুড়ি,বাসে বাড়তি যাত্রী হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দেশকে আরও সংকটে নিমজ্জিত করতে পারে। আমি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সংকটে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের অসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতির যদি আরো অবনতি হয় তাহলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

দেশে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়েও লকডাউন শিথিল করছে এবং কোথাও তুলে নিয়েছে জানিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, পবিত্র মক্কা-মদিনা-মসজিদুল আকসাও ধীরে ধীরে মুসল্লীদের জন্য ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদি বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথে নেমে আসবে স্তব্ধতা। অর্থনীতি হয়ে পড়বে স্থবির। তাই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকটের শুরু থেকে সরকার সব দফতর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, টেস্টিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আকস্মিক এ সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও আজ হিমশিম খাচ্ছে। আমরা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিনদিন সংকট সমাধানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। গড়ে তোলা হয়েছে সুসমন্বয়। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সমন্বয় করাসহ সচেতনতা তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তাসহ নানা উদ্যোগের ফলে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত মানুষ না খেয়ে মরেনি।

সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন,বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনা সরকারের সংকট সমাধানের সাহসী ও মানবিক প্রয়াস প্রশংসিত হচ্ছে। আর বিএনপি খুঁজে পাচ্ছে সমন্বয়হীনতা। নিজেরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্লজ্জভাবে ব্যর্থ হয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য রাখছে। বিষোদগার করছে, যা প্রকারান্তরে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা ও আক্রান্তদের মনোবল নষ্ট করছে। আমি সংকটে তাদের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

চাঁদপুরে ৪’শ নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের কঠোর হবে: কাদের

আপডেট: ০৪:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুন ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি হলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিবহন মালিকদের স্বাস্থ্য বিধি এবং শর্ত মেনে গাড়ি চালানোর অনুরোধ করছি। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ভিজিলেন্স টিম, মোবাইল কোর্টসহ টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অর্ধেক আসন খালি রাখা, বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার বিষয়গুলোর ভালোভাবে তদারকির আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করছি আপনারা অতিরিক্ত যাত্রী হবেন না। অর্ধেক আসন খালি রাখুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট কাটুন। নিজে সংক্রমণ থেকে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান।

সেতুমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেন,হুড়োহুড়ি,বাসে বাড়তি যাত্রী হওয়া, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দেশকে আরও সংকটে নিমজ্জিত করতে পারে। আমি পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সংকটে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের অসচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পরিস্থিতির যদি আরো অবনতি হয় তাহলে জনস্বার্থে সরকার আবারও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

দেশে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক পর্যায়েও লকডাউন শিথিল করছে এবং কোথাও তুলে নিয়েছে জানিয়ে সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, পবিত্র মক্কা-মদিনা-মসজিদুল আকসাও ধীরে ধীরে মুসল্লীদের জন্য ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা দীর্ঘমেয়াদি বন্ধ থাকলে জীবনের গতিপথে নেমে আসবে স্তব্ধতা। অর্থনীতি হয়ে পড়বে স্থবির। তাই পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বেছে নিতে হবে।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকটের শুরু থেকে সরকার সব দফতর ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, টেস্টিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিসহ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আকস্মিক এ সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও আজ হিমশিম খাচ্ছে। আমরা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও দিনদিন সংকট সমাধানের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। গড়ে তোলা হয়েছে সুসমন্বয়। কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সমন্বয় করাসহ সচেতনতা তৈরিতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তাসহ নানা উদ্যোগের ফলে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত মানুষ না খেয়ে মরেনি।

সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন,বিশ্বব্যাপী শেখ হাসিনা সরকারের সংকট সমাধানের সাহসী ও মানবিক প্রয়াস প্রশংসিত হচ্ছে। আর বিএনপি খুঁজে পাচ্ছে সমন্বয়হীনতা। নিজেরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্লজ্জভাবে ব্যর্থ হয়ে দায়িত্বহীন বক্তব্য রাখছে। বিষোদগার করছে, যা প্রকারান্তরে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা ও আক্রান্তদের মনোবল নষ্ট করছে। আমি সংকটে তাদের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।