বিশেষ প্রতিনিধি:
চাঁদপুর জেলায় এসএসসি ও দাখিলে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ ৫ এর সংখ্যা। তবে গড় পাসের হারে শুধু কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডই নয়, সারাদেশের গড় পাসের হারের চেয়েও চাঁদপুর জেলার পাসের হার অনেক বেশি। রবিবার প্রকাশিত ফলাফলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে চাঁদপুর জেলার এমন অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এবার আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বিগত কয়েক বছরের চেয়ে ভালো করেছে। এ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭১ জন। আর গত বছর পেয়েছিলো ১৪০ জন। গত বছর এ স্কুলের পাসের হার ছিলো ৯৭%। এ বছর পাসের হার ছিল ৯৯.৪৫ ভাগ। হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাসসহ ১৪৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ স্কুল থেকে এবার ২৪৪ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়েছে। এ স্কুলের সার্বিক ফলাফল গত বছরের চেয়ে ভালো। গত বছর এ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১০৬ জন। এছাড়া পাসের হারও শতভাগ ছিলো না। অপরদিকে জেলা শহরের অপর খ্যাতিমান স্কুল মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শতভাগ পাসের কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। গত বছরও এ স্কুলের ফলাফল আশানুরূপ ভালো হয়নি।
গতকাল ৩১ মে রোববার সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এসএসসির ফলাফলে দেখা গেছে যে, চাঁদপুর জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২৭ হাজার ৬৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২৩ হাজার ৬শ’ ৯৩ জন। পাসের হার ৮৭.৫৩। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬শ’ ৬২ জন। গত বছর পাসের হার ছিলো ৮৮.৬৪%। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১ হাজার ২শ’ ৩৪ জন।
দাখিলে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৭ হাজার ৪শ’ ৭৬ জন। মোট পাস করেছে ৬ হাজার ৮শ’ ৭৮ জন। পাসের হার ৯২%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫৫ জন। গত বছর দাখিলের পাসের হার ছিলো ৮৩.৬৪% এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১২৫ জন।
এসএসসিতে এবার কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার ৮৫.২২ এবং সারাদেশে গড় পাসের হার ৮৩.৭৫%। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলে এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ৮২.৫১%।
এদিকে জেলার বিদ্যালয়ভিত্তিক এসএসসির ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে আল-আমিন একাডেমী। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ৫৪৪ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৪১ জন। পাসের হার ৯৯.৪৫। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭১ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।