মতলবে শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা, আটক-২, ২ সৎচাচা পলাতক

  • আপডেট: ০৮:২৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০
  • ৩২

মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে পারিবারিক বিরোধের জেরে আড়াই বছরের শিশুকে  ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।

নিহত তাওহিদুল নাউজান গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎদাদি জায়েদা বেগম ও জায়েদার আগের ঘরের মেয়ে লাকী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত শিশুটির দুই সৎচাচা নুরে আলম ও জানে আলম গাঢাকা দিয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ, চার দিন আগে গ্রাম্য সড়কের মাটি কাটা নিয়ে সৎ দুই ভাই নুরে আলম ও জানে আলমের সঙ্গে কামরুজ্জামানের বাগিবতণ্ডা হয়। এর জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কামরুজ্জামানকে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের ডোবায় তাঁর ছেলে তাওহিদুলের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামরুজ্জামানের অভিযোগ, সৎভাইয়েরা তাঁকে মারতে না পেরে তাঁর শিশুছেলেকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। একই ধরনের অভিযোগ করেন শিশুটির মামা কুতুবউদ্দিন নোমান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎদাদী জায়েদা ও জায়েদার আগের ঘরের মেয়ে লাকীকে আটক করা হয়েছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

‘ম্যানেজ করে’ এক সাথে দুই স্বামীর সংসার করছিলেন জান্নাতুল!

মতলবে শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা, আটক-২, ২ সৎচাচা পলাতক

আপডেট: ০৮:২৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মে ২০২০

মতলব দক্ষিণ প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে পারিবারিক বিরোধের জেরে আড়াই বছরের শিশুকে  ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ।

নিহত তাওহিদুল নাউজান গ্রামের মো. কামরুজ্জামানের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎদাদি জায়েদা বেগম ও জায়েদার আগের ঘরের মেয়ে লাকী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত শিশুটির দুই সৎচাচা নুরে আলম ও জানে আলম গাঢাকা দিয়েছে।

পরিবারের অভিযোগ, চার দিন আগে গ্রাম্য সড়কের মাটি কাটা নিয়ে সৎ দুই ভাই নুরে আলম ও জানে আলমের সঙ্গে কামরুজ্জামানের বাগিবতণ্ডা হয়। এর জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কামরুজ্জামানকে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের ডোবায় তাঁর ছেলে তাওহিদুলের লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামরুজ্জামানের অভিযোগ, সৎভাইয়েরা তাঁকে মারতে না পেরে তাঁর শিশুছেলেকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে। একই ধরনের অভিযোগ করেন শিশুটির মামা কুতুবউদ্দিন নোমান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির সৎদাদী জায়েদা ও জায়েদার আগের ঘরের মেয়ে লাকীকে আটক করা হয়েছে।

মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ জানান, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।