আম্ফানের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

  • আপডেট: ১০:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০
  • ২৩

অনলাইন ডেস্ক:

আম্ফান সুপার সাইক্লোনে রুপ নিয়ে দেশের উপকূলীয় এলাকার দিকে দ্রতু বেগে এগিয়ে আসছে। এর গতিবেগ বাতের শক্তি ঘন্টায় ২০০ থেকে ২২০ মাইল। উপকুলীয় এলাকাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ।

দশ নম্বর সংকেত থাকবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর জেলাতেও দেখানো হচ্ছে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। বাংলাদেশের আবহাওয়াজনিত সতর্ক সংকেতের মাপকাঠিতে এটাই সর্বোচ্চ সংকেত।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মানে হল ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রমকালে বন্দর ঝড়ের তীব্রতার কবলে পড়তে পারে। বন্দরের উপর দিয়ে বা পাশ দিয়েই ঝড় উপকূল অতিক্রম করবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ০৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এই সময় উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া সেখানে ভারী বৃষ্টিসহ ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।

উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশ সময় রাত দশটা পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সরকার বিশ লাখ মানুষকে ১২,০৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেবার লক্ষ্যে কাজ করছে।

তবে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আমাদের বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বইছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ধমকা হাওয়ার থামার কোন লক্ষণ নেই।

হাতিয়া থেকে আলী আজগর জানান, হাতিয়া মঙ্গলবার থেকে আকাশ মেঘলা রয়েছে। রাতে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। সকাল এখন ১০টা বৃষ্টি না থাকলেও প্রচণ্ড বাতাস বইছে। হাতিয়া দ্বীপের নিঝুমদ্বীপ এলাকার জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও সাগরের মোহনার তীরবর্তী বসা-বাসকারীদেরও দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য যেতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে রেডক্রসেন্ট এলাকায় মাইকিং ও সতর্ক বার্তা দিচ্ছে। পাশা-পাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে সাইরেন বাজানো হচ্ছে।

Tag :
সর্বাধিক পঠিত

হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে সিমস্ প্রকল্প বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আম্ফানের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

আপডেট: ১০:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মে ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

আম্ফান সুপার সাইক্লোনে রুপ নিয়ে দেশের উপকূলীয় এলাকার দিকে দ্রতু বেগে এগিয়ে আসছে। এর গতিবেগ বাতের শক্তি ঘন্টায় ২০০ থেকে ২২০ মাইল। উপকুলীয় এলাকাগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে বাংলাদেশের আবহাওয়া বিভাগ।

দশ নম্বর সংকেত থাকবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর জেলাতেও দেখানো হচ্ছে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। বাংলাদেশের আবহাওয়াজনিত সতর্ক সংকেতের মাপকাঠিতে এটাই সর্বোচ্চ সংকেত।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মানে হল ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রমকালে বন্দর ঝড়ের তীব্রতার কবলে পড়তে পারে। বন্দরের উপর দিয়ে বা পাশ দিয়েই ঝড় উপকূল অতিক্রম করবে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ০৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এই সময় উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া সেখানে ভারী বৃষ্টিসহ ১৪০-১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।

উপকূলীয় জেলাগুলো থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশ সময় রাত দশটা পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সরকার বিশ লাখ মানুষকে ১২,০৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেবার লক্ষ্যে কাজ করছে।

তবে করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আমাদের বরগুনা প্রতিনিধি জানান, বরগুনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি ও ধমকা হাওয়া বইছে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ধমকা হাওয়ার থামার কোন লক্ষণ নেই।

হাতিয়া থেকে আলী আজগর জানান, হাতিয়া মঙ্গলবার থেকে আকাশ মেঘলা রয়েছে। রাতে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। সকাল এখন ১০টা বৃষ্টি না থাকলেও প্রচণ্ড বাতাস বইছে। হাতিয়া দ্বীপের নিঝুমদ্বীপ এলাকার জনগণকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও সাগরের মোহনার তীরবর্তী বসা-বাসকারীদেরও দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য যেতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে রেডক্রসেন্ট এলাকায় মাইকিং ও সতর্ক বার্তা দিচ্ছে। পাশা-পাশি আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে সাইরেন বাজানো হচ্ছে।