অনলাইন ডেস্কঃ
গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইতোমধ্যে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএসএমএমইউর উপাচার্য এবং আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, কার্যকারিতা পরীক্ষাটি দুই জায়গাতেই হতে পারে, তবে যে কোনো একটি সংস্থার তত্ত্বাবধানে তা হতে হবে।
“সেখানে কার্যকারিতা পরীক্ষা হবে। সেই ট্রায়ালের রিপোর্ট বিএসএমএমইউ বা আইসিডিডিআর,বি আমাদের কাছে জমা দেবে। ট্রায়ালে উত্তীর্ণ হলে পরে আমরা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় যাব।”
তবে তার অভিযোগ নাকচ করে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পরদিন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অসহযোগিতা নয়, বরং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সবসময় সহযোগিতাই করেছে তার অধিদফতর। অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুইটি চিঠি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, “গণস্বাস্থ্যের চিঠিতেই তাদেরকে শুরু থেকে সহযোগিতা করার প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে।”
জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, গণমাধ্যমে জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন যে পরীক্ষমূলক কিট তৈরির জন্য কাঁচামাল আমদানির অনুমোদন দিতে কর্তৃপক্ষ সাত দিন সময় নিয়েছে। এই অভিযোগ “সঠিক নয়” একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রথম ১৮ই মার্চ কাঁচামাল আনার অনুমোদন চেয়েছিল এবং পরদিনই তাদের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কিটের অনুমোদন দিতে কালক্ষেপণের অভিযোগও নাকচ করে ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক আরও বলেন, কোনো বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের পরে সেটি যেভাবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্নভাবে ‘ভ্যালিডেটেড’ করতে হয় – যার একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে, তা সম্পন্ন করতে হবে।
“সেটা বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ বা বিএমআরসি থেকে এপ্রুভ করতে হবে এবং আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেটি এপ্রুভ করতে হবে। সেই প্রটোকলের মধ্যে উনারা পারফরমেন্স ট্রায়াল করে আমাদেরকে রিপোর্ট দেবেন। পরে এটা আমরা ইভাল্যুয়েশন করে রিপোর্ট দেব। এটি মনে হচ্ছে লম্বা একটা পরিক্রমা, অনেক জায়গায় যাওয়া। সেটি কিন্তু না। আমরা অনলাইনেও এখন অনুমোদন দিচ্ছি।”